রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত

0

শহিদুল ইসলাম উখিয়া প্রতিনিধি::কক্সবাজারে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং শরণার্থী শিবির ও রোহিঙ্গা বস্তি পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংঘি লি।

বৃহস্পতিবার (২৩ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটার দিকে এ প্রতিনিধি দল ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হাতে নির্যাতিত অন্তত ত্রিশ জন নারী-পুরুষের কথা শুনেন।

এ সময় তাদের উদ্দেশ্য বলেন,আপনাদের এখানে থাকতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। মিয়ানমার সামরিক জান্তার হাতে ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে এখানে জীবন রক্ষার জন্য পালিয়ে এসেছেন। আন্তর্জাতিক মহলকে এই ব্যাপারে সোচ্চার হতে হবে।রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়ার ব্যাপারে ও জানানো হবে। মিয়ানমারের পোয়াখালী গ্রামের আব্দুল মাজেদের স্ত্রী আয়েশা বেগম (৩০) বলেন গত একমাস আগে নাফ নদী পার হয়ে এ দেশে চলে আসি। ওখানে মিলিটারী আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করেন। মিয়ানমারের নোয়াপাড়া এলাকার মৃত ছব্বির আহমদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বলেন,গত দেড়মাস আগে স্বামী ও সন্তাানকে মিলিটারি হত্যা করেন। মেীলভী জাফর আলম বলেন মিয়ানমার সরকার যদি নাগরিকত্ব দিলে নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই।

কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তির চেয়ারম্যান আবু সিদিক বলেন, রোহিঙ্গারা এখানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। মাঝেমধ্যে এনজিও সংস্থা কতৃক ত্রানসামগ্রী বিতরণ করা হলেও তা অপ্রতুল। নতুন করে রোহিঙ্গারা এই বস্তিতে আশ্রয় নিচ্ছে। মিয়ানমারের মংডুর সত্তর বছরের বৃদ্ধা আব্দুর রহমান বলেন আমার পরিবারের সবাইকে মিলিটারিরা ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে,মসজিদে থাকায় আমি বেচেঁ যায়।

এ সময় প্রতিনিধি দলের সাথে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সহকারী পররাষ্ট্র সচিব বাকী বিল্লাহ, মিয়ানমারের মানবাদিকার বিষয়ক রিপোর্টার,আইএমও প্রতিনিধি সৈকত বিশ্বাস ও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের বাংলাদেশস্থ কমিউনিকেশন এন্ড পার্টনারশিপ অফিসার নাজ্জিনা মোহসিন।দুপুর একটার দিকে কক্সবাজার এর উদ্দেশ্যে কুতুপালং ত্যাগ করেন।গত একুশ ফেব্রুয়ারী দুপুর একটার দিকে উখিয়ার বালুখালী নতুন রোহিঙ্গা বস্তি পরিদর্শন করেন।পরিদর্শন কালে পঞ্চাশজন ক্ষতিগ্রস্থ নারী পুরুষের সাথে কথা বলেন। মিযানমারের পোয়াপাড়া গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান ও বালুখালী বস্তিতে আশ্রয় নেওয়া আবুল ফয়েজ মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর হাতে গণ ধর্ষণের শিকার ৪২ নারী ও গুলিবিদ্ধ ৩৬ পুরুষের নাম সম্বলিত একটি তালিকা ইয়াংঘি লি হাতে তুলে দেন। এছাড়া ও গত বাইশ ফেব্রুয়ারী বুধবার টেকনাফের নয়াপাড়া ও লেদা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.