র‌্যাবের হাতে অস্ত্রসহ দুর্ধর্ষ ডাকাত আটক

0

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার:: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকার কুখ্যাত ডাকাত নুরুল আলমকে ৮টি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১১ রাউন্ড গুলিসহ আটক করেছে র‌্যাব-৭ এর একটি টীম ২২ মার্চ ভোর ৫টায় আটক করেন। তার মুক্তির দাবী নিয়ে শনিবার(২৫মার্চ)বিকাল ৫ টায় আবু দাউদ নামের এক যুবকের নেতৃর্ত্বে একদল রোহিঙ্গা শামলাপুর মেরিন ড্রাইভ রোডের মাথায় মানব বন্ধনের চেষ্টা করে। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ওই স্থানে উপস্থিত হলে কথিত মানববন্ধনে অংশ নিতে আসা লোকজন পালিয়ে যায়।
র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের মেজর মোঃ রুহুল আমিন এর নেতৃত্বে র‌্যাব-৭ এর একটি চৌকষ আভিযানিক দল ২২ মার্চ বুধবার ভোর ৫টার দিকে শামলাপুর নয়াপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায়। এসময় দুর্ধর্ষ ডাকাত নুরুল আলম (৩৪) কে ১টি দেশীয় তৈরী একটি এলজি ও ৪ রাউন্ড গুলিসহ হাতেনাতে আটক করে। সে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর নয়াপাড়া এলাকার ইজ্জত আলীর ছেলে।

মেজর মোঃ রুহুল আমিন জানান, পরবর্তীতে ওই নুরুল আলমকে তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে তার দেখানো মতে নিজ বসতঘরে তল্লাশী চালিয়ে আরো ৭টি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র সর্বমোট ৮টি অস্ত্র (৩টি একনলা বন্দুক, ৩টি এলজি, ১টি ওয়ান শুটারগান, ১টি দেশীয় তৈরী পিস্তল) ও ১১ রাউন্ড গুলি ও ৪ রাউন্ড গুলির খালি খোসা উদ্ধার করা হয়।
একই সময় নুরুল আলমকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে উক্ত অবৈধ অস্ত্র মজুদ রেখে ডাকাতি এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার কথা স্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

এই দুর্ধর্ষ ডাকাতের পক্ষে এবং তার মুক্তির দাবী নিয়ে শনিবার বিকাল ৫টায় আবু দাউদ নামের এক ব্যক্তির নেতৃর্ত্বে ১০/১৫ জন রোহিঙ্গা মানববন্ধন করার জন্য শামলাপুর মেরিন ড্রাইভ  সড়কের মাথায় জড়ো হয়। এঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শামলাপুর এলাকার সচেতন লোকজন ওই স্থানে উপস্থিত হলে আয়োজনকারী সহ আগত রোহিঙ্গারা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রসংশনীয় অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে এধরনের মানববন্ধন অংশগ্রহণকারীদের চিহ্নিত করা দরকার।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.