শীতে খেজুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা

0

সিটিনিউজ : খেজুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। বিশেষ করে শীতের দিনে প্রতিদিন খাওয়া যায়। এতে রয়েছে- ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, ন্যাচারাল গ্লুকোজ এবং আঁশ।

ঠাণ্ডা নিরাময়ে সাহায্য করে : ঠাণ্ডার সমস্যায় ভোগলে দুই-তিনটি খেজুর, কয়েকটি গোলমরিচ এবং এক-দুইটি এলাচ পানিতে দিয়ে সিদ্ধ হতে দিতে হবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে দ্রবণটি পান করলে ঠাণ্ডা থেকে নিরাময় পাওয়া যাবে। অ্যাজমা নিরাময়ে : অ্যাজমা এমন একটি স্বাস্থ্য সমস্যা যা শীতের সময় বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ১-২ টি খেজুর খেলে অ্যাজমা সমস্যা বৃদ্ধি পায় না।

শক্তি বর্ধক : খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি থাকে বলে তাৎক্ষণিকভাবে শরীরে শক্তি যোগায়। শক্তি বৃদ্ধির প্রয়োজন হলে তাৎক্ষণিক কয়েকটি খেজুর খেয়ে নেয়া যেতে পারে। শরীর উষ্ণ রাখে : ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফাইবার, ভিটামিন ও ম্যাগনেসিয়ামের চমৎকার উৎস খেজুর। আর খেজুরের এসব উপকরণ শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।

হৃদপিন্ডের জন্য ভালো : খেজুর আঁশযুক্ত খাবার বলে হৃদপিন্ডকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। এটি হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে থাকতে সাহায্য করে বলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি প্রতিরোধ হয়। বিশেষ করে শীতকালে। ব্লাড প্রেশার কমায় : খেজুর ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। এই দুটি উপাদান রক্তচাপ কমতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন পাঁচ-ছয়টি খেজুর খাওয়া যেতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্য : খেজুর আঁশযুক্ত খাবার। একগ্লাস পানিতে কয়েকটি খেজুর সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে ভেজানো খেজুরগুলোকে পিষে নিতে হবে। এবং সিরাপ বানিয়ে খালি পেটে পান করতে হবে। এই সিরাপ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে। আরথ্রাইটিসের জন্য ভালো : খেজুরে প্রদাহরোধী উপাদান আছে। এজন্য খেজুর খেলে আরথ্রাইটিসের ব্যথা কমে যা শীতের সময় খুব সাধারণ একটি বিষয়। তাই প্রতিদিন কয়েকটি খেজুর খাওয়া যেতে পারে। -অনলাইন

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.