বাঁশখালী প্রতিনিধি::রমজানের শেষ সময়ে এসেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অতিবৃষ্টি ও অব্যাহত বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসায়ীরা আশানুরূপ ব্যবসা জমছে না বলে জানান। বাঁশখালীর বেশ কিছু শপিং মল ও মার্কেট ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়। বিশেষ করে সম্প্রতি সময়ে বয়ে যাওয়া ভয়াবহ বন্যা, তার উপর অব্যাহত বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসায়ীরা আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারছে না। তারপরেও ক্রেতাদের চাহিদা মিটাতে দেশীয় নানা জাতি পোশাকের সাথে বিদেশী পোশাকের সমারোহ দেখা যায় বিভিন্ন দোকান ও মার্কেট গুলোতে।
বিশেষ করে বাহুবলী, জামদানী, কিরণমালা থেকে শুরু করে নানা ধরনের পোশাকের সমারোহ মার্কেট গুলোতে। বর্তমানে অধিকাংশ কাপড়ের দোকান গুলোতে ভিড় দেখা যাচ্ছে। জুতা সেন্ডেলের দোকানের চেয়ে কাপড়ের দোকান গুলোতে পুরুষ ও মহিলা ক্রেতার সংখ্যা সবচেয়ে বেশী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাঁশখালীর প্রধান সড়কের উপজেলা সদর জলদী, চাম্বল বাজার, নাপোড়া প্রেম বাজার, মিয়ার বাজার, বৈলছড়ি বাজার, কালীপুর ও রামদাশ মুন্সীর হাট, পুকুরিয়া চৌমুহনী থেকে শুরু করে বেশ কিছু স্থানে নতুন করে অসংখ্য মার্কেট এবং নতুন দোকান হওয়ায় সেখানে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং এবং অব্যাহত ঝড় বৃষ্টি থাকায় ব্যবসায়ীরা জানান আশানুরূপ ক্রেতা সমাগম হচ্ছে না। ঝড়বৃষ্টি ও বন্যা না হলে আরো বেশী ক্রেতার সমাগম হতো বলে তারা জানান। তবে দেশীয় কাপড়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে বিদেশী নামধারী বেশ কিছু কাপড়।
বাঁশখালী উপজেলা সদরের সিটি সেন্টারের বেলালসহ বেশ কয়েকজন বিক্রেতা জানান সামনে যে কয়দিন রয়েছে তা যদি সঠিক ভাবে ব্যবসা করা যায় তাহলে ব্যবসায়ীরা তাদের চাহিদা অনুসারে লক্ষ্যমাত্রা পোঁছতে পারবে।