সংরক্ষণের অভাবে বেহাত হচ্ছে স্যার আশুতোষ কলেজের জায়গা

0

বোয়ালখালী প্রতিনিধি:: চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী কানুনগোপাড়া স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজের জায়গা সংরক্ষণের অভাবে ক্রমশ বেহাত হয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে কলেজের প্রায় জায়গায় গ্রাস করেছে ভূমি দস্যুরা।

কলেজের প্রধান সহকারী আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধেও জায়গা দখলের অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা। তিনি কলেজের প্রায় ৪০শতক জমি মৎস্যচাষ ও ধানচাষে ব্যবহার করছেন। তবে তিনি এসব তাঁর আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করেন বলে জানা গেছে। কলেজের বাসভবন কর্মরত কর্মচারীদের নামে বরাদ্দ থাকলেও তা ব্যবহার করে তাদের স্বজনরা। এছাড়া মার্কেট, দোকানপাঠ নির্মাণ করেও দখল করে নিয়েছে একটি সিন্ডিকেট।

তবে এ বিষয়ে কলেজের প্রধান সহকারী আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘কলেজের উত্তর পার্শ্বে আমাদের ১৯৪৮-৫২ সালে কলেজের কর্তৃপক্ষের সাথে রিয়াজ বদল হয়েছিল। ফলে আমার আত্মীয় স্বজনরা সেসব জায়গা তদারকি করছেন। নিজের নামে কলেজের এক কড়া জায়গাও নেই বলে দাবি করেন তিনি।’

এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সাগর কান্তি দে বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। কলেজের সম্পত্তি রক্ষায় ও বেহাত সম্পত্তি উদ্ধার আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।তবে কলেজের সম্পত্তি বেহাত হওয়ার পেছনে দীর্ঘদিন অযত্ন অবহেলা পড়ে থাকাকে দায়ী করে প্রফেসর সাগর কান্তি দে জানান, ইতোমধ্যে কলেজের প্রাক্তণ ছাত্র বর্তমান সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন গত ১৯ আগস্ট প্রাক্তণ ছাত্র-ছাত্রী সমিতির হীরক জয়ন্তী প্রকাশনা উৎসবে কলেজের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এটি হলে, কলেজের বিশাল সম্পত্তি একটি কাঠামোর মধ্যে আসবে।

কলেজ সূত্র জানায়, কলেজের পুকুর, ধানী জমিসহ জায়গার পরিমাণ ১৯.৪৩ একর। কলেজের উত্তর দিকে ছিল ছিলো ছাত্রাবাস। এছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীদের আবাসন ব্যবস্থাও ছিল। পরবর্তীতে তা একে একে মুখ থুবড়ে পড়ে ছাত্রাবাস। অব্যবহৃত জায়গা গুটি কয়েক কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এ বেহাত জায়গা উদ্ধারেও নেই কোনো তৎপরতা।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুকুর ও ধানী জমি মিলে প্রায় ৪০ শতকের উপরে জমি দীর্ঘসময় ধরে দখলে রেখেছে কলেজের প্রধান সহকারী ও তার আত্মীয় স্বজনরা। ধানী জমির অবস্থান মুসলিম হোস্টেলের পেছনে, পুকুরের অবস্থান কলেজ বিল্ডিং-এর দক্ষিণ পূর্বকোণে। দখলকৃত দু’টি বাসাতে দেখা গেছে একজন প্রয়াত কর্মচারীর উত্তরসূরী। অপর বাসাতে আরেক কর্মচারীর ভাই বসবাস করছে। বাসাগুলো বরাদ্দ নেয়ার কথা বললেও যাদের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তাদের খোঁজ মেলেনি। স্থানীয়রা জানায়, কলেজের প্রায় জমি অরক্ষিত। কে কোনদিকে দখলে নিয়েছে তার সঠিক হিসেব নেই।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.