সীতাকুণ্ডে ১০দিনে ২ কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার : আটক ১৪
কামরুল ইসলাম দুলু,সীতাকুণ্ড,সিটিনিউজ : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডেকে মাদক ব্যবসায়ীরা নিরাপদ রোড হিসেবে ব্যবহার করছে। কক্সবাজার, টেকনাফ ও চকরিয়া থেকে ইয়াবা পাচার হয় সারা দেশে সীতাকুণ্ড হয়ে। গত ১০দিন (১১ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত) ৬৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাব পুলিশ।
তার মধ্যে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার পুলিশ ১১ জুলাই ১ হাজার পিস, আটক ১ জন। ১৩ জুলাই ৩ হাজার চারশত পিস আটক ১ জন। ১৫ জুলাই ২ হাজার ৪ শত পিস আটক ৩ জন। ২২ জুলাই ২ হাজার চারশত পিস আটক ১ জন। ২৩ জুলাই ৫ হাজার পিস আটক ১ জন। ২৪ জুলাই র্যাবের হাতে আটক ৪০ হাজার পিস আটক ২ জন। ২৬ জুলাই ৫ শত পিস আটক ১ জন। ২৯ জুলাই ২ হাজার পিস আটক ২ জন। ৩০ জুলাই ২ হাজার তিনশত পিস আটক ১ জন। এবং ৩১ জুলাই ৫ হাজার ৪ শত পিস আটক করা হয় ১ জনকে ।
১১ থেকে ৩০ জুলাই ২০ দিনে সীতাকুণ্ডে ৬৬ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে এবং আটক করা হয়েছে ১৪ জনকে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি টাকা। তার মধ্যে ২৪ জুলাই র্যাব- ৭ ভাটিয়ারী থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। ২৩ জুলাই কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ উদ্ধার করে ৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। বাকী ইয়াবা উদ্ধার করে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার পুলিশ। ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিভিন্ন যানবাহনে করে ইয়াবা পাচার করছে সীতাকুণ্ড হয়ে । এতে উঠতি বয়সের যুবকেরা বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে।
প্রায় প্রতিদিনই কক্সবাজার, টেকনাফ থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পরিবহনে করে সীতাকুণ্ড দিয়ে সারা দেশে পাচার করছে কোটি টাকার ইয়াবা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হয়তো কিছু মাদক পাচারের সময় ধরা পড়লেও বেশিরভাগ থাকে ধরাছোঁয়ার বাহিরে। ইয়াবা পাচারকারীরা একেক সময় একেক পদ্ধতি গ্রহণ করে ইয়াবা পাচারের ক্ষেত্রে। কখনো পেটের ভিতর, কখনো মহিলাদের লজ্জাস্হানে কখনো হারমোনিয়ামের ভিতর করে ইয়াবা পাচার করে থাকে।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কায়ুম আলী সরদার বলেন, টেকনাফ ও কক্সবাজার থেকে বেশিরভাগ মাদক ব্যবসায়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশ দিয়ে সারাদেশে মাদক পাচার করছে। এছাড়া সীতাকুণ্ড পৌরসদরের আমিরাবাদ, গজারিয়া, ভুইয়া পাড়া, ওয়াপদা গেইট, চৌধুরী পাড়া এবং বড় দারোগাহাটে কলাবাড়িয়া, ছোট দারোগারহাট বাড়বকুণ্ডের রেল স্টেশন, হাতিলোটা শান্তার দিঘির পাড়, মাহমুদাবাদ ব্রীজ এলাকা, ইয়াসীন নগর, অনন্তপুর, মান্দারী টোলা, নতুন পাড়া, ভাটিয়ারী, সোনাইছড়ির ফুলতলা, জাফরাবাদ, দক্ষিণ ঘোরামারা, কুমিরা কোট পাড়া, সলিমপুর পাক্কা মছজিদ, জঙ্গল সলিমপুর, কালুর শাহ, ফকিরহাট এলাকায় ইয়াবা ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। উপজেলার প্রতিটি চায়ের দোকানে চলছে ইয়াবার বাণিজ্য।
এতে উঠতি বয়সী যুবকেরা আসক্তি হয়ে পড়ছে। যার ফলে এলাকায় অপরাধ, চুরিসহ অসামাজিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুলিশ কোন অপরাধীকে আটক করলেই তার সাথে ইয়াবাও পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ইয়াবা ব্যবসায়ীরা সারাদেশে মাদক পাচারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডকেই সবচে নিরাপদ রোড হিসাবে ব্যবহার করছে। হয়তো পুলিশের গোপন সোর্সের মাধ্যমে কিছু ইয়াবা ধরা পড়লেও বেশিরভাগ পৌছে যাচ্ছে গৌন্তব্যে।