স্যার আশুতোষ কলেজে শ্রেণিকক্ষ সংকট

0

বোয়ালখালী প্রতিনিধি::বোয়ালখালী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কানুনগোপাড়া স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজে দেখা দিয়েছে শ্রেণি কক্ষ সংকট। বর্তমানে সাড়ে হাজার শিক্ষার্থীর শ্রেণি কার্যক্রম ও পাঠদান চলছে জটলাপাকিয়ে।

১৯৩৯ সালে দত্ত পরিবারের জৈষ্ঠ্য সন্তান রেবতী রমন দত্ত তাঁর শিক্ষাগুরু আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এর নামানুসারে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রায় এক দশক পর শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরার শিক্ষানুরাগী নীরেন্দ্র লাল সেন বর্তমান পরিত্যক্ত বিজ্ঞান ভবনটি নির্মাণ করেন। ভবনটির বয়স প্রায় ৭০বছর।

২০১৪ সালের দিকে এ ভবনকে ব্যবহার অনুপযোগী হিসেবে ঘোষণা করা হলে অফিস, বিজ্ঞানাগার, শ্রেণি কার্যক্রম সড়িয়ে নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে এ কলেজে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার হাজার, শ্রেণি ব্যবহারের উপযোগী ভবন রয়েছে ৩টি।

শিক্ষার্থীরা জানায়, একটি শ্রেণিকক্ষে ধারণ ক্ষমতা ২শত থেকে আড়াইশত জন শিক্ষার্থী বসতে পারে। তবে বর্তমানে বসতে হচ্ছে ৪শত থেকে সাড়ে ৪শত জনকে।

প্রায় ৪ বছর আগে কলেজের মূল ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলে এ শ্রেণি কক্ষ সংকট। মূল ভবনে থাকা অফিস, রসায়ন বিভাগের ল্যাবেরেটরী, উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম সরিয়ে নিতে হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকায় দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পরিত্যক্ত এ ভবনটি ভাঙ্গতে ৫লক্ষ টাকার চাহিদা দিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অর্থ ছাড়ের আবেদন করে। সাথে নতুন ভবন নির্মাণ অতীব জরুরী জানিয়ে তথ্য প্রেরণ করা হয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে।

কলেজ সূত্র জানায়, কলেজে রয়েছে একাডেমিক ভবন ব্যতীত দ্বিতল বিশিষ্ট ৫টি ভবন। এর মধ্য ৪বছর আগে মূল ভবনটি পরি‌্যক্ত ঘোষণা করা হলে গুটিয়ে নেয়া ভবনটি থেকে সকল প্রকার কার্যক্রম। শ্রেণি কক্ষ সংকট দেখা দেয়ায় ২টি দ্বিতল ভবনকে উর্দ্ধমূখি সম্প্রসারণের জন্য প্রায় আড়াই কোটি টাকার চাহিদা প্রস্তাব পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।

কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর সাগর কান্তি দে বলেন, কলেজে শ্রেণি কক্ষ সংকটের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। পরিত্যক্ত ভবনটি ভেঙ্গে নতুন ভবন তৈরি ও দ্বিতল ভবনগুলোর উর্দ্ধমূখি সম্প্রসারণ করা হলে এ সমস্যা দূর হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.