রাউজান ইউএনও’র নখ দর্পনে উপজেলা সদর

0

এম. রমজান আলী রাউজান (চট্টগ্রাম)::রাউজান উপজেলা সদর সিসি ক্যামেরা দ্বারা সম্পূর্ণরূপে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। উপজেলার সকল প্রশাসনিক কার্যালয়, ডাক বাংলো, অডিটোরিয়াম, বাজার, সড়কের মোড়, রাস্তা মুখ,মার্কেটের সম্মুখে সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ চল্লিশটি স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এই সকল ক্যামেরা গুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ইউএনও নিজেই সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করেন। ক্যামেরায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা চোখে পড়লে ইউএনও সরাসরি নিজেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সমস্যা সমাধান করেন।

উপজেলা প্রশাসন কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরের সকল প্রশাসনিক ভবনের ফটক, উপজেলা সদরে সংযুক্ত প্রতিটি সড়কের প্রবেশ মুখ, বাজারের প্রবেশ মুখ, থানার ফটক সহ গুরুত্বপূর্ন স্পটে গত ফেব্র“য়ারী মাস থেকে ৪০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। গত ছয় মাস পর্যন্ত এইসব ক্যামেরা সংস্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এই সকল ব্যয় উপজেলা পরিষদ প্রশাসন থেকে বহন করা হয়। রাউজান উপজেলাকে একটি কার্যকরী, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চেীধুরীর পরামর্শে এই উদ্যোগ নেন ইউএনও শামীম হোসেন রেজা।

সিসি ক্যামরা স্থাপনের উদ্দেশ্য সম্পর্ক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হোসেন রেজা বলেন, প্রথমত পৌরসভার প্রধান প্রধান অংশে যে কোন ধরণের গ্যাঞ্জাম, যানজট, চুরি,ছিনতায়, মারামারি বা অúরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন রয়েছে কিনা এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করা। ২য় কথা হল, জঙ্গি হামলা রোধের প্রস্তুতি, অফিসের নিরাপত্তা বিধান করতে চাই। এছাড়াও সেবা প্রার্থীরা এসে তার মোটর গাড়িটা নিশ্চিন্তে রেখে সেবা নিতে পারে সেই জন্য এই ব্যবস্থা। পর্যায়ক্রমে সিসি ক্যামেরায় আওতা আরো বাড়ানো হবে।

তিনি আরো জানান, সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে আমরা ছিনতাইকারীর গাড়ীর নম্বর বের করে এরই সূত্র ধরে উপজেলা সদর থেকে ছিনতাই পাঁচ লক্ষ টাকার মধ্যে সাড়ে তিনলক্ষ টাকাসহ কক্সবাজার থেকে ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।

উপজেলা সদরের একটি ভাতের হোটেলের মালিক জমির উদ্দিন বলেন, সিসি ক্যামেরা কারণে আমরা নিরাপদে নিশ্চিন্তে রাত্রি যাপন করতে পারি। সড়কের মধ্যে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করা থাকলে ইউএনও নিজে এসে গাড়ি সরিয়ে দেন।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.