লাইফস্টাইল ডেস্ক :: পরিবারের সদস্যদের সুস্থ রাখতে আপনি কত কিছুই না করেন। সবার সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সব কিছুর আগে প্রয়োজন পরিচ্ছন্ন পরিবেশে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তৈরি করা। আর সেজন্য দরকার পরিষ্কার ঝকঝকে একটি রান্নাঘর। কিন্তু বাসার অন্যান্য ঘরের চেয়ে রান্নাঘরই বেশি ময়লা হয়। নানা কাজের ভিড়ে তা পরিষ্কার করাও বেশ কষ্টকর ও সময়সাপেক্ষ কাজ। কিছু কাজ নিয়মিত করলে আপনার রান্নাঘর থাকবে মনের মতো ঝকঝকে।
- রান্নাঘরে এজাস্ট ফ্যান ব্যবহার করতে পারেন। এতে রান্নাঘরের ভ্যাপসা গরম বাতাস বাইরে বের হয়ে দেবে। অনেকে আবার এ কাজে কিচেন হুড ব্যবহার করেন।
- চুলার পাশে টাইলস ব্যবহার করলে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করা যাবে সহজে।
- রান্নাঘরে নানা খাবার থাকায় পোকামাকড়ের আধিক্য থাকে। সপ্তাহে মাত্র দুই থেকে তিন দিন মাকড়সার জাল, পিঁপড়ার বাসা, তেলাপোকার বসতি দূর করতে পারেন। তাতে রান্নাঘর পরিষ্কার থাকবে।
- রান্না করার সময় চুলার চারপাশে মসলা পড়ে তেল চিটচিটে হয়ে যায়। রান্না করার পরে স্পঞ্জ ও সাবান পানি দিয়ে তা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
- চুলা পরিষ্কার রাখতে প্রতিদিন ঝামেলা না করতে চাইলে মাসে এক বা দুই বার চুলাকে মোড়াতে পারেন পেপার দিয়ে। চুলার ওপরের অংশটা পেপার দিয়ে টানটান করে মুড়ে টেপ দিয়ে আটকে দিন। এবার আগুন জ্বালানোর জায়গাটা গোল করে কেটে পেপার ফেলে দিতে হবে। নিরাপদে চুলা ব্যবহার করতে পারবেন দীর্ঘদিন। আপনার চুলাও থাকবে দাগহীন ঝকঝকে।
- রান্নাঘরের গ্রিল নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
- রান্নার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো পরিষ্কার স্থানে রাখুন। মসলার কৌটোগুলো তেল চিটচিটে হওয়ার আগে পরিষ্কার করুন। অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো রান্নাঘর থেকে সরিয়ে ফেললে ময়লা কম হবে।
- রান্না শেষে যেটুকু ময়লা হবে তা সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করে রাখলে ঝামেলা কমে অনেকাংশে।
- রান্নার সময় যে জিনিসটি যেখান থেকে নেবেন সেটা সেখানেই আবার রেখে দিলে কাজ কমে অনেকাংশে। রান্নাঘরও ঝকঝকে থাকে।