রোহিঙ্গারা অসহায়,নির্যাতিত-নিষ্পেষিত: কৃষিমন্ত্রী

0

সিটিনিউজ ডেস্ক :: রোহিঙ্গারা এখন বড় অসহায়। তারা নির্যাতিত-নিষ্পেষিত। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্বের রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।

রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি তাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করতে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী।

আজ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময়ে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।

এ সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দেশের মানুষকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান তিনি।

মায়ানমারে রোহিঙ্গা জাতি গোষ্ঠির ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতন বন্ধে সে দেশের সরকার উদ্যোগী হবে এমন আশা প্রকাশ করেন কৃষিমন্ত্রী।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা সমস্যায় পড়লেই আমরা তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করি। কিন্তু বার বার তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করা কি সম্ভব?

মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের আমরা সাধ্যমতো সাহায্য-সহযোগিতা করছি। কিন্তু কত সাহায্য করা যায়? আমাদের সম্পদেরও তো একটা হিসাব আছে।’

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা ছাড়া রোহিঙ্গাদের এই সমস্যার সমাধান হবে না। আমরা এই সমস্যা সমাধানে সকলের সহযোগিতা চাই।’

সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজারের টেকনাফ ও শাহপরীর দ্বীপের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে একসঙ্গে দুই হাজার ৩০০ রোহিঙ্গা মুসলিমকে ফেরত পাঠিয়েছে বাংলাদেশের কোস্টগার্ড।

প্রতিদিনই এভাবে রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক করা হলেও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে হাজারো রোহিঙ্গা ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশে।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সহিংসতা শুরুর পর প্রতিদিন শত শত রোহিঙ্গা মুসলিম মায়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।

গত এক সপ্তাহে প্রায় পৌনে এক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিপদসংকুল নদী ও সমুদ্রপথে পাড়ি দিতে গিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

গেলো ২৫ আগস্ট মায়ানমার সেনাবাহিনী আরাকানের রাখাইন অঞ্চলে সার্জিক্যাল অপারেশন শুরু করলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

বিভিন্ন মিডিয়ার খবরে জানা গেছে, মায়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর চড়াও হয়, তাদের ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়, নারীদের নির্বিচারে ধর্ষণ করে ও পুরুষদের গুলি করে হত্যা করে।

মায়ানমারে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা রোহিঙ্গাদের ওপর এ নির্যাতন ২০১২ সালে সহিংসতায় রূপ নেয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.