দোহাজারী-পটিয়া রেললাইনে ১৫টি ঝুুঁকিপূর্ণ লেভেলক্রসিং নেই গেইটম্যান

0

মো. দেলোয়ার হোসেন,চন্দনাইশ : চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনের দোহাজারী থেকে পটিয়া পর্যন্ত ২০ কিলোমিটারে ১৫ টি লেভেলক্রসিং রয়েছে। এর মধ্যে একজনও গেইটম্যান নেই। ফলে এসব লেভেলক্রসিং দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে প্রতিনিয়ত।

দোহাজারী রেল ষ্টেশন মাষ্টার কাঞ্চন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, গত এক বছরে পটিয়া থেকে দোহাজারী এলাকার ৬টি লেভেলক্রসিং-এ অন্ততঃ ৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। দোহাজারী ষ্টেশন সংলগ্ন বাজারের উপর দিয়ে দোহাজারী-লালুটিয়া সড়ক প্রবাহিত হয়েছে। এ সড়কের লেভেলক্রসিং-এ প্রায় ছোট-খাটো দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রেন আসা-যাওয়ার সময় দোহাজারী ষ্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুইদিকে লাল পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে থেকে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে থাকে। গেইটম্যান না থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে বলে তিনি জানান।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীবাহী ও ফুয়েলবাহী ট্রেন আসার সময় এ সকল ক্রসিং দিয়ে সিএনজি অটোরিক্সা, টেম্পু, কাঞ্চনগর এলাকায় ইটবাহী ট্রাক, ডাম্পার ক্রসিং পার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অনেক সময় ট্রেনের হুইসেল বাজলেও যানবাহন দাড়ায় না। চন্দনাইশ অংশের রেললাইনের দোহাজারী বাজার, জামিজুরী, জামিজুরী মাদরাসা সংলগ্ন, হাশিমপুর নাছির মোহাম্মদ পাড়া সড়ক, হাশিমপুর রেল ষ্টেশন সংলগ্ন সড়ক, গাছবাড়ীয়া খানহাট ষ্টেশন সংলগ্ন, কাঞ্চননগর রেল ষ্টেশনের দুই পাশে দুটি সড়ক, কাঞ্চননগর সড়ক, কাঞ্চননগর সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আফছার উদ্দিনের বাড়ীর সড়ক, মুরাদাবাদ, মুজাফ্ফরাবাদ-মুরাদাবাদ সড়ক, পটিয়ার খরনা, ধলঘাট ষ্টেশন, কমল মুন্সির হাট সড়ক সহ ১৫টি স্থানে গেইটম্যান না থাকায় ঝুঁকিতে পারাপার করছে ইটবাহী ট্রাক, টেম্পু, সিএনজি টেক্সী, ব্যাটারী চালিত রিক্সা ও সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যে খানমোহনা এলাকায় গত দুই বছর পুর্বে একজন গেইটম্যান দেয়া হয়েছে।

গেইটম্যান ছাড়া বিভিন্ন লেভেলক্রসিং-এ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সতর্কীকরণ ফলক লাগিয়ে দায় সারতে দেখা যাচ্ছে। সতর্কীকরণ ফলকে লেখা রয়েছে সাবধান, “এ গেইটে কোন গেইটম্যান নেই। পথচারী ও সকল যানবাহনের চালক নিজ দায়িত্বে পারাপার করবেন এবং যেকোন দুর্ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে নিজেই বাধ্য থাকবেন”।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানান, চট্টগ্রাম-দোহাজারী লাইনের ২০ কিলোমিটার এলাকায় ১৫টি লেভেলক্রসিং এর মধ্যে মাত্র একটিতে গেইটম্যান রয়েছে। এ রেললাইনে এক সময় ছয় জোড়া ট্রেন চলাচল করত। বর্তমানে এক জোড়া যাত্রীবাহী ও তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে থাকে। যাত্রীবাহী ১২০ ডাউন ট্রেন ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে দোহাজারী থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছাড়ে। ১১০ আপ ট্রেন সন্ধ্যা ৬ টায় চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারীর উদ্দেশ্যে ছাড়ে।

এছাড়া দুপুরে তেলবাহী আরেকটি ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী আসা-যাওয়া করে। এ সকল লেভেলক্রসিং-এ গেইটম্যান না থাকার ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলীয় সহকারী প্রকৌশলী মো. ইসমাইল বলেছেন, চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেলপথে লেভেলক্রসিং এর জন্য গেইটম্যান দেয়ার কোন অনুমোদন নেই। তাই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এসব ক্রসিং-এ সাইনবোর্ড দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.