অনুপ্রবেশকারীরা নৌকায় আর ত্যাগীরা ডাঙ্গায়
জুবায়ের সিদ্দিকীঃ আওয়ামীলীগের মধ্যে পাইকারী হারে অনুপ্রবেশ এবং ত্যাগী নেতাদের অবমুল্যায়ন করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামীলীগের তৃণমূলের নেতারা। তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা অভিযোগ করেছেন, জিয়াউর রহমান ও খোন্দকার মোশতাকের প্রেতাত্মারা আওয়ামীলীগের কাঁধে ভর করেছে।
এমনকি কোথাও কোথাও জামাত শিবিরের নেতারাও আওয়ামীলীগের খাতায় নাম লিখিয়েছে। নৌকার বাইরের লোকেরা নৌকায় উঠে পড়ায় আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাদের ঠাঁই হচ্ছে না নৌকায়। এদের বিষয়ে এখনই সতর্ক না হলে আগামী নির্বাচনে কড়া মাসুল দিতে হতে পারে।
গতকাল শনিবার গনভবন চত্বরে আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তৃণমূলের নেতারা এসব কথা বলেন। এছাড়া রয়েছে আভ্যন্তরীণ কোন্দল দলাদলী মারামারি। আওয়ামীলীগের সমস্যা আওয়ামীলীই।
নেতাদের অনৈক্যের কারনে আওয়ামীলীগের হারার জন্য আওয়ামীলীগই যথেষ্ট। এক নেতার সাথে আর এক নেতা কথা বলেন না, মুখ দেখা দেখিও বন্ধ। এক নেতা কর্মসূচীর আয়োজন করলে অন্য নেতা সেখানে না গিয়ে পাল্টা কর্মসূচী দেন। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আওয়ামীলীগের জন্য হবে খুবই দুঃখজনক।
আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূলের নেতারা বলেন, এ জায়গাটা পরিস্কার করে দিন। প্রার্থী ঠিক করে দিন, কার কি দায়িত্ব সেটাও ঠিক করে দিন। ইনশ আল্লা্হ সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেই আওয়ামীলীগের বিজয় ছিনিয়ে আনবো।
বর্ধিত সভা শেষে এক আওয়ামীলীগ নেতা এ প্রতিবেদেককে বলেন, অনুপ্রবেশকারী দালাল বাটপার, ও সুবিধাভোগী হাইব্রিডরা এমপিদের পেছনে ঘুর ঘুর করে। এ দৃশ্য দেখে ত্যাগী নেতারা সটকে পড়ে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে আওয়ামীলীগের জন্য হবে অশনি সংকেত। চট্টগ্রামের এক নেতা বললেন, অনুপ্রবেশকারীরা নৌকায় আর ত্যাগীরা ডাঙ্গায়।