আন্দোলনরত মাদরাসা শিক্ষকদের সাথে মন্ত্রীর আলোচনা ব্যর্থ

0

সিটি নিউজবিডিঃ  আজ শিক্ষামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর সাথে আন্দেলনরত বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। ফলে শিক্ষকরা তাদের চলমান আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। এদিকে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করা একটা ব্যাড পলিসি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

শিক্ষকরা জানান, ২১ জনের একটি প্রতিনিধিদল আজ রোববার (১৪ জানুয়ারী) বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, মাদরাসাও কারিগরি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কেরামত আলী, মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে করেন। তবে আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে।

মাদরাসা শিক্ষকদের সংগঠনের সভাপতি রুহুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রী মহোদয় আমাদেরকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সাথে কথা বলে আপনাদের বিষয়টি সমাধান করবো। তাই আপনারা ঘরে ফিরে যান। কিন্তু আমরা তার কথায় কোনোরকম আশ্বস্ত হতে পারিনি। তাই আমরা আমরণ অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের দাবিতে রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশনে ষষ্ঠ দিন পার করছেন শিক্ষকরা। অনশনের কারণে এ পর্যন্ত ১৬৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এছাড়া ৪ জন মেডিকেলে ভর্তি আছেন। ১ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট পালনের পরও শিক্ষকদের দাবি না মানায় ৯ জানুয়ারি থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন শিক্ষকরা।

এদিকে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করা একটা ব্যাড পলিসি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আজ রোববার সচিবালয়ে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তবু কিছু শর্ত সাপেক্ষে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন,এমপিওভুক্তিটা ব্যাড পলিসি,আই ওয়ান্ট ইটস রিফর্মস,এটা হচ্ছে না সুতরাং আমি এমপিও আটকে রেখেছি। এবারে দিতে হবে,দেব- আই উইল গিভ ইট উইথ কনডিশনস।

তিনি বলেন,এমপিওভুক্তি ইজ অনলি বেনিফিশিয়াল টু টিচার্স– সেজন্য এমপিও দেব কিন্তু সেখানে আমি কিছু কনডিশনস দেবো,যাতে পুরো সিস্টেমটা ম্যানেজ করা যায়। অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য কিছু অংশ বরাদ্দ থাকবে,বিভিন্ন উপকরণ কেনার জন্যও।’

মুহিত জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় জাতীয় শিক্ষানীতি গ্রহণ করেছে। শিক্ষানীতির সবটুকু আমার হাতে ড্রাফট করা, সেখানে তারা কিছু ইমপ্রুভ করে ওটা চূড়ান্ত করেছে। সেই পলিসি আমরা ফলো করছি। এমপিওভুক্তি নিয়ে এ মাসের মধ্যেই মিটিং হবে।

সেখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক কক্ষে পাঁচজন শিক্ষককে ক্লাস নিতে দেখার কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন,রাবিশ! একটি ঘরের মধ্যে পাঁচটি ক্লাসকে শিক্ষা দিচ্ছে,কোনোটাই মাথায় ঢোকে না। তিনি বলেন,গাছের নিচে হলেও শ্রেণিগুলো যেন আলাদা হয়,বিভিন্ন ক্লাসের শিক্ষার্থীরা যেন আলাদা বসতে পারে- এটা শিক্ষা ব্যবস্থার খুবই গুরুত্বপূর্ণ শর্ত।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.