আলম পারভেজ গ্রেফতার, টক অব দ্যা ফটিকছড়ি

0

বিশেষ প্রতিনিধিঃঃ  চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রিমিয়ার ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখায় ৩০ কোটি টাকার এলসি খোলেন সদরঘাটের ব্যবসায়ী ও ফটিকছড়ির সাবেক সাংসদ রফিকুল আনোয়ারের চাচাতো ভাই শাহা আলম। কয়েক বছরে সুদে আসলে এই এলসির ঋণের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৩৯ কোটি টাকা।

স্বাক্ষর জাল করা ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমান ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করার অপরাধে শাহ আলম ও তার ছেলে পারভেজকে গ্রেফতার করেছে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে নগরীর কোতোয়ালী থানায় হয়েছে মামলা। ভূয়া কাগজপত্রে ব্যাংক ঋণ নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে পিতা পুত্রকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।

গ্রেফতার শাহ আলম ফটিকছড়ির সাবেক সাংসদ রফিকুল আনোয়ারের চাচাতো ভাই এবং পারভেজ আগামী নির্বাচনে ফটিকছড়ি আসন থেকে আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী খদিজাতুল আনোয়ার সনির স্বামী। সনি বিগত ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের টিকেটে ফটিকছড়ি আসন থেকে এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

পরবর্তীতে তরিকত ফেডারেশন জোটে আসলে সনিকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখে আওয়ামীলীগ। সেখানে জোটের ব্যানারে নির্বাচন করেন নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী।
দুদক এর চটগ্রাম সহকারী পরিচালক এইচ এম আখতারুজ্জামানের দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মেসার্স আয়মান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি আমদানি-রপ্তানি প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে “দি প্রিমিয়ার ব্যাংক খাতুনগঞ্জ” শাখায় ২০০৪ সালে হিসাব খোলেন শাহ আলম।

পরবর্তীতে ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালে পাহাড়তলী, জঙ্গল লতিফপুর এলকায় ১১২ ডেসিমিল জমি মর্টগেজ রাখেন। এসব জমির মূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা। এর আগে ২০০৪ সালে পারভেজ ও তার তিন ভাই সোলায়মান, দিদারুল আলম ও ইলিয়াসের নামে ২৫ কোটি করে একশ কোটি টাকার ব্যক্তিগত গ্যারান্টিনামা সম্পদান করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পরবর্তীতে দেখা যায় দিদার, সোলায়মান ও ইলিযাসের নামে সম্পাদন করা গ্যারান্টিনামার স্বাক্ষর নকল করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, স্বাক্ষর জাল করা গ্যারান্টিনামা আর এগারো কোটি টাকা মূল্যোর জমি বন্ধকের বিপরীতে ব্যাংকে ৩ কোটি টাকার এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলেন শাহ আলম ও তার ছেলে। উক্ত এলসির বিপরীতে মেসার্স আয়মন এন্টারপ্রাইজ ঠিকানায় প্রায় ২৮ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা নেন। এর মধ্যে ২৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫৯ হাজার ২ শ ৮২ টাকার এলটিআর এবং ২কোটি টাকা সিসি (হাইপো) লোন নেন আলম ও তার ছেলে পারভেজ। পরবর্তীতে ৮৩ লাখ ২৩ হাজার ৯শ ৬৪ টাকা পরিশোধ করলেও আরো ২৭ লাখ টাকা অনাদায়ী থেকে যায়। কয়েক বছরে সুদে আসলে ঋণের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৩৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৪ হাজার ৭১২টাকা।

উল্লেখ্য, ফটিকছড়ির এই দু’জন গ্রেফতারের ঘটনায় বেশ আলোচিত হচ্ছে ফটিকছড়িতে। শাহ আলম একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। পারভেজ আওয়ামীলীগ উত্তর জেলার সদস্য খোদেজা আনোয়ার সনি’র স্বামী। এই দ’জনের গ্রেফতার এখন “টক অব দ্যা ফটিকছড়ি”।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.