ইলিশের নামে বিষাক্ত মাছ আমদানি!

0

সিটিনিউজ ডেস্ক :: বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। এর জনপ্রিয়তার সাথে চাহিদাও বেশি। কিন্তু এবার সেই ইলিশেই মিলল বিষ। সম্প্রতি এমন তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, মিয়ানমার, ফিলিপাইন ও ওমান থেকে ইলিশের নামে আমদানিকৃত মাছ দেশের বাজারে আসছে। আর বেশ বড় ও চকচকে রুপালি রং দেখে ক্রেতারা খুশিমনে এই মাছ কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। ক্রেতারা জানেন না ইলিশ মাছের নামে গাঁটের টাকা খরচ করে তারা বিষ কিনে খাচ্ছেন।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, স্বাভাবিক মাত্রায় মাছে (এমজি/কেজি) লেডের পরিমাণ শূন্য দশমিক ৩ ভাগ হলেও ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় ৫ গুণ বেশি সিসা (১ দশমিক ৫৫৯ ও ১ দশমিক ৬৯৯ [এমজি/কেজি]) পাওয়া গেছে। এ ছাড়া দ্বিগুণের বেশি ক্যাডমিয়াম (সিডি) পাওয়া গেছে।

একশ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সমুদ্র ও আকাশপথে আমদানি করে প্রতিদিন দেশের বাজারে বিক্রির জন্য ইলিশ মাছের নামে নিয়ে আসছে এসব বিষ। মিয়ানমার থেকে আনা মাছ টেকনাফে ভ্যাট কাস্টমস কমিশনার কার্যালয় ও অন্যান্য দেশ থেকে আসা মাছ চট্টগ্রাম এবং শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে আসছে। বেশি মুনাফাজনক হওয়ায় এ মাছ আমদানি হচ্ছে।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্ম-সচিব) মাহবুব কবীর মিলন জানান, এ মাছ দেখতে হুবহু ইলিশের মতোই। রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্রেতারা পদ্মার ইলিশ বলে ক্রেতার কাছে চড়া দামে বিক্রি করছে।দেশের বাজারে এ মাছটি চন্দনা বা চাঁদিনা নামে বিক্রি হচ্ছে। এ প্রজাতির মাছে সিসা ক্রোমিয়ার ও মারকারি নামের উপাদান পাওয়া গেছে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।

এদিকে এ মাছ আমদানি বন্ধে আমদানিকৃত মাছের চালান ল্যাবরেটরি টেস্টের ফলাফল ছাড়া খালাস না করতে অনুরোধ জানিয়ে কাস্টমসকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বাংলাদেশ ফুড সেইফটি অথরিটি)।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.