‘ইহুদি রাষ্ট্র’ গঠনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো মিসর

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক::‘ইহুদি রাষ্ট্র’ গঠনে ইসরায়েলে সদ্য পাশ হওয়া আইন প্রত্যাখ্যান করে মিসর বলছে, ওই আইন মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির সম্ভাবনা বিনষ্ট করবে। শনিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই আইন ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিজেদের মাতৃভূমিতে ফেরার অধিকার ক্ষুণ্ন করবে। গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের পার্লামেন্টে জাতিরাষ্ট্র সংক্রান্ত ওই আইন পাশ হয়।

ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে পাস হওয়া ওই আইনে দখলীকৃত ফিলিস্তিনি ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ঐতিহাসিকভাবেই ইহুদিদের জন্মভূমি আখ্যা দেওয়া হয়।  বলা হয়, সঙ্গত কারণেই এখানকার মাটিকে নিজেদের দাবি করার অধিকার রয়েছে তাদের। আইনে অবিভক্ত জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানীর স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পাস হওয়ার পর ওই আইনের নিন্দা জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষসহ আরব নাগরিকেরা এই আইনকে বর্ণবাদী আইন আখ্যা দেয়। শনিবার নিন্দা জানানোর তালিকায় যোগ হয় মিসরের নাম।

শনিবার মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি নেসেটে পাশ হওয়া ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আইনকে প্রত্যাখান করছে আরব রিপাবলিক অব ইজিপ্ট (মিসরের আনুষ্ঠানিক নাম)। বিবৃতিতে বলা হয়, এতে শান্তি অর্জনের সুযোগ ও ফিলিস্তিনি ইস্যুতে একটি বিস্তৃত সমাধানে পৌঁছানোর সুযোগ নষ্ট হবে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময়ে নিজেদের ঘর থেকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি ও তাদের পরবর্তী প্রজন্মের অধিকার রক্ষার ওপরে প্রভাব ফেলতে পারে ওই আইন। জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি ও তাদের পরবর্তী প্রজন্মের নিজেদের বাড়িতে ফেরার অধিকারের কথা বলা হয়েছে।

প্রথম আরব রাষ্ট্র হিসেবে ১৯৭৯ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে মিসর। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে স্বাক্ষরিত ক্যাম্প-ডেভিড চুক্তি নামে পরিচিত ওই চুক্তির আওতায় সিনাই উপত্যকা মিসরকে ছেড়ে দেয় ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। তবে মিসর ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর দখলকৃত সিরিয়ার গোলান উপত্যকা, পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা ও পূর্ব জেরুজালেম থেকে ইসরায়েলের সরে যাওয়ার দাবি তুলতে থাকলে দুই দেশের সম্পর্ক শীতল হতে শুরু করে।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.