ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসব শুরু

0

সিটিনিউজ ডেস্ক:: পাহাড়ের তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, বিহু উৎসব শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার উৎসবের প্রথম দিন বিজু।  এ উৎসবকে ঘিরে সমগ্র পাহাড়ি জনপদ এখন উৎসবে মুখরিত।

বাংলা বর্ষের শেষ দুইদিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন এই উৎসব পালন করে থাকে পাহাড়ে বসবাসরত আদিবাসীরা।

পার্বত্য চট্টগ্রামের (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) ১১ ভাষাভাষি ১৫টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আদিবাসী পাহাড়ি জাতিসত্তাদের ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব  হচ্ছে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, বিহু। উৎসবটির উচ্চারণগতভাবে বিভিন্ন নামে পালন করলেও এর নিবেদন একই।

তাই এ উৎসবটি আদিবাসী পাহাড়িদের শুধু আনন্দের নয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সম্প্রদায়ের সামাজিক, রাজনৈতিক অর্থনৈতিক, ঐক্য ও মৈত্রী বন্ধনের প্রতীকও বটে। মূলত পুরনো বছরের সব দুঃখ কষ্ট ও গ্লানিকে মুছে ফেলে দিয়ে নতুন বছরের নব উদ্যোগের শুভ কামনা করা হল এ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য।

বৃহম্পতিবার উৎসবের প্রথম দিন বিজুতে ভোরে পানিতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

ভোরে বিজু-সাংগ্রাই-বৈসুক-বিষু-বিহু-সাংক্রান্ত উদযাপন কমিটি রাঙামাটির উদ্যোগে রাজ বন বিহার পুর্ব ঘাট এলাকায় নদীতে ফুল ভাসানো হয়েছে। কামনা করা হয় দেশ ও বিশ্বের সুখ শান্তি কামনা।

ছাড়া ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বয়জ্যেষ্ঠদের স্নান, সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

শুক্রবার উৎসবের দ্বিতীয় দিন মূল বিজু। এ দিন বাড়িতে বাড়িতে শুধু চলে খাওয়া-দাওয়ার পর্ব ও আনন্দ-ফূর্তি।  বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু খাবার দাবার আগত অতিথিদের পরিবেশন করা হয়।

উৎসবের তৃতীয় দিনে অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল ‘গজ্যাপজ্যা বিজু’। এ দিনে পাহাড়িরা সারাদিন ঘরে বসে বিশ্রাম নিয়ে থাকেন। এ দিন বৌদ্ধ মন্দিরে প্রার্থনা ও বয়োজ্যেষ্ঠদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে যত্নসহকারে ভাত খাওয়ানোসহ আর্শীবাদ নেওয়া হয়। এ দিন তারা যে কোন প্রাণী হত্যা থেকে বিরত থাকেন।

অন্যদিকে মারমা সম্প্রদায় এদিন ঐতিহ্যবাহী পানি খেলার আয়োজন করে থাকে। তারা পানি খেলার মাধ্যমে পুরনো বছরের সমস্ত গ্লানি ও দুঃখ কষ্টকে দূর করে নতুন বছরকে বরণ করে থাকেন।

রাঙামাটি পুলিশ সুপার আলমগীর কবির জানান, প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, বিহু উৎসব ও বাংলা নব বর্ষকে ঘিরে পুলিশ কঠোর নিরাপত্তা গ্রহণ করেছে। কোনও প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সন্দেহভাজনদেরকে তল্লাশি ও নজরদারী রাখা হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.