কক্সবাজারের চেহারা বদলে দিচ্ছে রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড

0

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার:: বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্বচ্ছ কাচে তৈরি বিশাল অ্যাকুরিয়াম। অ্যাকুরিয়ামের ভেতরে যেতে হয় সুড়ঙ্গের আদলে তৈরি আঁকাবাঁকা পথে। ওখানে হরেক রকমের সামুদ্রিক মাছ। সমুদ্রের তলদেশে যা আছে এই অ্যাকুরিয়ামেও তা-ই রয়েছে। বলা যায়, মাছের রাজ্য রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড। একটি অ্যাকুরিয়াম বদলে দিয়েছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের চেহারা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এধরনের মাছের রাজ্য কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত নগরীতে তৈরি করেছেন উদ্যোক্তা মোহাম্মদ শফিকুর রহমান চৌধুরী । ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে এটির আনুষ্টানিক উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান প্রমূখ।
মাটির নিচে তৈরি ফিস ওয়াল্ড আ্যকুরিয়ামের ভেতর আপনি দাঁড়িয়ে আছেন। দেখবেন, আপনার চারদিকে এসব প্রাণী দৌড়ঝাঁপ। হাতের কাছে, মাথার ওপর চারদিকে। আপনি দাঁড়িয়ে অথবা হেঁটে এসব মন ভরে দেখলেন। তুলছেন ছবি। মনে হবে, আপনি সমুদ্রের তলদেশে নেমে এ প্রাণিকুলের সঙ্গে খেলছেন। এই হচ্ছে সামুদ্রিক মাছের রাজ্য ‘রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড ’এর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা।

বৈদ্যুতিক আলোয় অ্যাকুরিয়ামের ভেতরের প্রাণীগুলোর দৌড়ঝাঁপ যে কোনো মানুষকে আকৃষ্ট করে। এখানে জীবিত মাছ ছাড়াও রয়েছে মৃত মাছও। ফিস ওয়ার্ল্ড দেখতে স্থানীয়রা তো আছেই, পাশাপাশি প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশী পর্যটকও ভিড় জমায় এখানে। জীবন্ত অথচ বিরল ও বিলুপ্ত প্রায় সামুদ্রিক প্রাণী দেখার সুযোগ সৃষ্টি ও মেরিন সাইন্স নিয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের কাছে গবেষণার ভুমিকাও রাখছে এই আ্যাকুরিয়াম।

সকাল-বিকেল সমুদ্র সৈকতে নামা আর দু-একটি দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন ছাড়া বিনোদনে আর কিছু নেই কক্সবাজারে। সমুদ্রের তলদেশে অ্যাকুরিয়ামের মাধ্যমে জীবন্ত প্রাণীগুলো দেখা পর্যটকদের জন্য রীতিমতো রোমাঞ্চকর ও অন্য রকম অভিজ্ঞতা। এতে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও।

অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান বললেন, সমুদ্রের তীরে (কক্সবাজার) ৫২ বছর কাটিয়ে দিলাম। সামুদ্রিক মাছ খেয়ে আমরা বেঁচে আছি। অথচ এই জীবনে কোনো দিন জীবন্ত হাঙ্গর, মাইট্যা, গুইজ্যা, রুপচাঁদাসহ অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী দেখার সুযোগ হয়নি। কক্সবাজারে এ রকম জীবন্ত সামুদ্রিক মাছের অ্যাকুরিয়াম গড়ে তুলায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

তিনি বলেন, সমুদ্রের তলদেশে অ্যাকুরিয়ামের মাধ্যমে জীবন্ত প্রাণীগুলো দেখা পর্যটকদের জন্য রীতিমতো রোমাঞ্চকর। অন্য রকম অভিজ্ঞতা।
রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, আ্যাকুরিয়ামটি দেশি বিদেশী পর্যটকদের যেমন আনন্দ দিবে তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেরিন সাইন্স নিয়ে পড়ুয়ারা এখানে এসে সামুদ্রিক প্রাণী নিয়ে গবেষণা কাজ চালাতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, আ্যাকুরিয়ামে প্রবেশে টিকেটের মুল্য ধরা হয়েছে দেশি পর্যটক প্রতিজন ১ হাজার টাকা। এবং বিদেশী পর্যটকদের জন্য টিকেট মুল্য ২ হাজার টাকা। তবে বর্তমানে অর্ধেক মুল্য ডিসকাউন্ট দেয়া হচ্ছে। এছাড়া শিশু ও শিক্ষার্থীদেও ক্ষেত্রে টিকেট মুল্য আরো কম বলে জানান তিনি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.