কানাডা-সৌদি বিরোধ চরমে

0

আন্তর্জাদিক ডেস্ক:: মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় সৌদি-কানাডা বিরোধ চরমে উঠেছে। তবে দুই ঘনিষ্ট মিত্রের এমন বিরোধে পুরোপুরি নিরব ভূমিকা পালন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই দুই মিত্রের বিবাদ মেটাতে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ভূমিকা রাখবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।

কানাডা ও সৌদি আরবের মধ্যকার কুটনৈতিক বিবাদে নিজেদের জড়াতে অস্বীকৃতি জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নয়ার্ট জানিয়েছেন, ‘উভয় দেশকে একত্রে কুটনৈতিকভাবে এ সমস্যার নিস্পত্তি করতে হবে। আমরা তাদের পক্ষে সেটা করতে পারি না।’

মঙ্গলবার নয়ার্ট বলেন, মানবাধিকার কর্মী গ্রেপ্তারের ব্যাপারে সৌদির কাছে আরো তথ্য চাইবে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া সৌদির প্রক্রিয়ার প্রতি সম্মান জানাতেও আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার সৌদি আরবের একটি সরকারি টুইটার পেজে টরন্টোর সবচেয়ে উঁচু ভবন স্কাইস্ক্যাপারে ৯/১১ এর আদলে হামলার হুমকি দেয়া হয়। যদিও পরবর্তীতে সে টুইট মুছে দিয়ে ক্ষমা চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সম্প্রতি এক অভিযানে মানবাধিকার কর্মী সামার বাদাওয়িকে গ্রেপ্তার করে সৌদি। এরপর সৌদি-আমেরিকান নাগরিক বাদাওয়িকে মু্ক্তির দাবি জানায় কানাডা।

তবে কানাডার এ দাবিকে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনে সৌদি। এরপর সৌদি কানাডায় তাদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায় এবং রিয়াদে কানাডার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে। এছাড়া কানাডায় অধ্যয়নরত ১৬ হাজার শিক্ষার্থীকে দেশে ফেরার আদেশ দিয়েছে সোদি আরব।

কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বিচ্ছিন্নের পাশাপাশি টরন্টোর সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইটও বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি। এরপর সৌদি থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নিয়েছে কানাডা।

সামার বাদাওয়ির ভাই রায়েফ বাদাওয়ি ২০১২ সাল থেকে সৌদি জেলে বন্দী রয়েছেন এবং একটি ব্লগে ইসলাম ধর্মের অবমাননার জন্য তাকে ১০০০ বার বেত্রাঘাত করা হয়েছে। তিনি এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার পুরস্কার ‘শাখারফ পুরস্কার’ পেয়েছেন। রায়েফ বাদাওয়ির স্ত্রী ও তিন সন্তান কিউবেকে থাকে এবং তারা সকলেই গত মাসে কানাডার নাগরিকত্ব পেয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.