খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের নির্দেশ আদালতের

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :: মানহানির দুই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ মে) পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম ও ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব এ আদেশ দেন।

ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বলেন, ‘দুই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা আছে। সেগুলো এখনো কার্যকর করা হয়নি। তাই আমরা প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে আবেদন করি।’

বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘গত ২৫ এপ্রিল দুই মামলায় জামিনের আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আজ জামিনের শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। সে জন্যই আজ জামিনের শুনানি করি। তখন বিচারক খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের নির্দেশ দেন।’

 

মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার মামলা

মামলার আরজিতে বলা হয়, ‘২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি রাজাকার-আলবদর নেতাকর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি ও গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দেন।’

এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। আদালত ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।

২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান (তদন্ত) অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলার অপর আসামি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যু হওয়ায় তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম নুর নবী।

 

‘ভুয়া’ জন্মদিন পালন

অপর মামলার আরজিতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর ম্যাট্রিক পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী তাঁর জন্মতারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তাঁর জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট উল্লেখ করা হয়। তাঁর বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী তাঁর জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট।

‘বিভিন্ন মাধ্যমে খালেদা জিয়ার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তিনি পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর দিন জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ-উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন। শুধু বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ণের জন্য তিনি জন্মদিন পালন করেন।’

২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.