খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ২০দলের অবস্থান কর্মসুচী চলছে

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃঃ  দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ড নিয়ে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিএনপি ও ২০ দলের নেতাকর্মীরা।

জাতীয় প্রেসক্লাব ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বরে অবস্থান নেয়ার অনুমতি না পাওয়ার পর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

আজ মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শুরু হয় এই কর্মসূচি। এরপর বক্তব্য দেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু।

যুবদলের এই নেতার বক্তব্য শেষ হওয়ার পরপরই নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন তার বক্তব্যে বলেন,আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনব। বিএনপি খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।

এর আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। উপস্থিত আছেন জোটের শরিক লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ-ভাসানীর মহাসচিব গোলাম মোস্তফা।

তৃতীয়বারের মতো ভেন্যু পরিবর্তনের পর অবশেষে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে শুরু হলো ২০ দলের এই অবস্থান কর্মসূচি। এই কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল থেকেই শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা। কারণ, সন্ধ্যা পর্যন্ত এই কর্মসূচির জন্য নির্ধারিত ছিল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক। পরে রাতে এক মুঠোফোন বার্তায় বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কর্মসূচি পালিত হবে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে। তবে সেই ভেন্যুও আজ সকালে পরিবর্তন করা হয়।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

খালেদা জিয়ার এই কারাদণ্ডের প্রতিবাদেই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে ২০ নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। কাল রয়েছে একই দাবীতে অনশন কর্মসুচী।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.