খোকা হত্যাকারীদের অনেকেই কর্ণেল অলির দোসর
নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দনাইশ: চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেছেন চন্দনাইশ শ্রমিকলীগ নেতা নুরুল ইসলাম খোকাকে যারা হত্যা করেছে তারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে। দিনদুপুরে জনসম্মুখে একজন লোককে গুলি করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে যারা হত্যা করেছে, হত্যাকান্ডের নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদেরকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। একটি মহল এ হত্যাকান্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে ফাঁয়দা লুঠার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।
হত্যাকারীদের অনেকেই কর্ণেল অলির দোসর। তারা আওয়ামী লীগের ভেতরে ঢুকে হত্যাকান্ডের মোটিভকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। হত্যাকান্ডের মূল হোতা প্রধান আসামী জামাল উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করে হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবি জানান। এব্যাপারে পুলিশের তৎপরতার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বক্তারা।
সোমবার ৯ এপ্রিল বিকেলে উপজেলার দোহাজারী হাজারী টাওয়ার চত্বরে শ্রমিকলীগ নেতা খোকা হত্যার প্রতিবাদে উপজেলা শ্রমিকলীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ সংগঠনের সভাপতি মাহামুদুল হক বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনু, রিহ্যাব চট্টগ্রামের সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আফতাব মাহামুদ শিমুলের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন আ’লীগ নেতা যথাক্রমে মাহাবুর রহমান চৌধুরী, বাবর আলী ইনু, প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বেগ, আবদুশ শুক্কুর, নবাব আলী, বেলাল হোসেন মিটু, জাকের হোসেন চৌধুরী, শেখ হেলাল উদ্দীন, মরহুম খোকার ভাই জমিরুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা শহিদ আলী, কামরুল ইসলাম মিটু, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সেলিম হোসেন, মফিজুর রহমান বাহাদুর, জেলা ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান, রিদুয়ানুল হক, মামুন উদ্দীন, আবদুল মজিদ মিটু, শ্রমিকলীগ নেতা মো. জসিম উদ্দীন, ইকবাল করিম খোকা প্রমুখ।