গণমাধ্যমে কাদেরকে মাদকের পৃষ্ঠপোষক উল্লেখের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

0

জুবায়ের সিদ্দিকীঃ বিভিন্ন গনমাধ্যমে চট্টগ্রাম মহানগরীর ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আবদুল কাদেরকে কয়েকটি গনমাধ্যমে মাদকের পৃষ্ঠপোষক উল্লেখ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওয়ার্ডের স্থানীয় অধিবাসীরা।

আজ রবিবার (২৭ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২৮ নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনসাধারনের ব্যানারে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা শেখ জাহেদ আহমদ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় কাউন্সিলর মো. আবদুল কাদেরসহ চট্টগ্রামের ৪৫ জনপ্রতিনিধি মাদকের পৃষ্ঠপোষক উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। ওনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভুল তথ্যের ভিত্তিতে প্রণীত,মনগড়া, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।

যিনি ইতিমধ্যে মাদকের বিরুদ্ধে তার কর্মসূচির কারণে প্রশাসন, রাজনীতিবিদ ও এলাকার জনগণের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছেন। তাকে মাদকের পৃষ্ঠপোষক উল্লেখ করায় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

পাঠানটুলী ওয়ার্ডের জনগণের বিপুল সমর্থন ও প্রত্যক্ষ ভোটে আবদুল কাদের কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর নির্বাচনী ওয়াদা পূরণে এলাকার উন্নয়নে দিনরাত কাজ করেছেন উল্লেখ করে মুক্তিযোদ্ধা শেখ জাহেদ আহমদ আরও বলেন,‘কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার রাস্তা-ঘাট,নালা-নর্দমার ব্যাপক সংস্কার কাজ চলছে।

যা ইতিপূর্বে ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের ইতিহাসে কোনদিন এতো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয় নাই। এমনকি এলাকার জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড তথা ইভটিজিং বন্ধ,মাদকসেবন ও বিক্রি বন্ধে ব্যাপকভাবে সামাজিক প্রতিরোধমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেন।

বিশেষ করে যুবসমাজকে ধবংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য মাদকের আখড়াগুলোকে গুড়িয়ে দিতে তিনি স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকার সর্বস্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতিটি স্পটে হানা দিয়ে তা উচ্ছেদ করেছেন।

এমনকি মাদকবিরোধী সভা,সেমিনার,উঠোন বৈঠক ও লিফলেট বিতরণসহ তার মাদকবিরোধী ব্যাপক কর্মকাণ্ড সিএমপির দুইটি থানা সদরঘাট ও ডবলমুরিং থানা প্রশাসন অবগত আছেন।’

এসব কর্মকাণ্ডের কারণে সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীরা ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে ওনার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী মহলের সাথে হাত মিলিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। কাউন্সিলর আবদুল কাদের জনপ্রিয়তায় ঈষার্নিত হয়ে রাজনৈতিকভাবে

পরাজিত হয়ে প্রতিশোধের নিমিত্তে প্রশাসনের বিশেষ স্তরে ভুল ও মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে ওনার ভাবমুর্তি নষ্ট করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জনপ্রিয় কাউন্সিলর আবদুল কাদেরকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়ানো হয়েছে।

যার ফলশ্রুতিতে বিগত কয়েকদিন যাবৎ আমরা গভীর উদ্ভেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, কয়েকটি গনমাধ্যম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের ‍উদ্বৃতি দিয়ে প্রকাশিত তালিকায় উনাকে মাদকের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করে সংবাদ পরিবেশন করেছে, যা আমাদেরকে গভীরভাবে আহত করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, আলহাজ্ব মো. আব্দুল কাদের ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং বর্তমানে সক্রিয় আওয়ামীলীগ নেতা। বিভিন্ন লড়াই সংগ্রামে বিশেষ করে সরকারী কমার্স কলেজের শিবির বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ’৯৬ এর সরকার বিরোধী আন্দোলনে তার সাহসী ভুমিকা আওয়ামীলীগের চট্টগ্রামের শীর্ষ নেত্রীবৃন্দ অবগত রয়েছেন।

তৎকালীন বিএনপি জামাত সরকার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পুরো সময়কাল কারাগারে থাকতে হয়। অথচ একটি গনমাধ্যমে সংবাদে তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে করা শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করে এবং একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির নাম বিকৃত করে সংবাদ পরিবেশন করে যা অত্র এলাকার ভোটার হিসেবে আমাদের আত্মসম্মানের উপর সরাসরি আঘাত। প্রকৃত গণমাধ্যম কখনো গণমানুষের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধির নাম বিকৃতি করে না। আমরা এই নাম বিকৃতিরও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে নগরীর বাইশ মহল্লা সর্দার কমিটির সহ-সভাপতি শওকত হোসেন কমরু, ২৮ নম্বর মহল্লা কমিটির সভাপতি হাসান শরীফ, চসিকের সাবেক মহিলা কাউন্সিলর নুরজাহান জাহাঙ্গীর, সাবেক প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব সগীর আহমেদ, বাংলাবাজার সমাজের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. জাকারিয়া, গীতিকার খুরশীদ আনোয়ার, মো. এমরান সর্দার কাপুড়িয়া পাড়া মহল্লা কমিটি, মো, নুর আলী সর্দার মতিয়ার পোল মহল্লা কমিটি, আবু তাহের সর্দার বারোঘর মহল্লা কমিটি ও মতিয়ার পোল জামে মসজিদের মোতোয়াল্লি মো. মহসিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.