গ্যাস চুরি বন্ধ হলে, গ্যাসের দাম বাড়বে না

0

অর্থ ও বাণিজ্য :: রাজধানী ঢাকা চট্টগ্রামে যে পরিমাণ গ্যাস চুরি হয়, তা কমানো গেলে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে হবে না। আর এলএনজি না এলে গ্যাসের দামও বাড়াতে হবে না।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে তিতাসের দেয়া মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানিতে কারিগরি কমিটি দাম বাড়ানোর সুপারিশ করে। এসময় ভোক্তাদের পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়।

গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলা হয়, ঢাকা চট্টগ্রামে প্রতিদিন ৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাস চুরি হয়। অন্যদিকে বেশি দামে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা হচ্ছে।

চুরির গ্যাস বন্ধ করা গেলে এলএনজি আমদানি করতে হবে না। আর এলএনজি না এলে গ্যাসের দাম বাড়ানোরও প্রয়োজন পড়বে না।

গণশুনানিতে দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণ সংস্থা তিতাস গ্যাস কোম্পানি গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল ২৪০ শতাংশ। এর বিপরীতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি কমিটি ১৪৩ শতাংশ দাম বাড়ানোর সুপারিশ করে।

গণশুনানিতে অংশ নেন ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন আব বাংলাদেশ (ক্যাব), জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের যৌক্তিকতা নেই। গ্যাস খাতের অনিয়ম দুর্নীতির কারণে গ্যাসের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ব্যাংক লুটের মতো গ্যাস খাতেও লুটপাট হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক বদরুল ইমাম বলেন, গত ২০ বছরে গড়ে ২০টি কূপও খনন করা হয়নি। অথচ সারা দেশে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাগরেও গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। এভাবে ধীরে ধীরে গ্যাসের সংকট তৈরি করা হয়েছে।

এখন বেশি দামে এলএনজি আমদানি করে এই অজুহাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে। দেশীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়িয়ে স্থল সাগরভাগে গ্যাস অনুসন্ধান উত্তোলনের ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

শুনানিতে কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, সদস্য রহমান মুর্শেদ, মাহমুদুল হক ভূঁইয়া, মো. আবদুল আজিজ খান, মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.