চকরিয়া বাশঁঘাটা সড়কের বেহাল দশা, সংস্কারের উদ্যোগ নেই
বশির আলমামুন,চকরিয়াঃঃ চকরিয়া পৌর সদরের প্রাণকেন্দ্র জনবহুল চিরিঙ্গা সোসাইটির বাশঁঘাটা সড়কের বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কটি সংস্কার ও মেরামত না করাতে জনসাধারনের যাতায়াত ও হাটা চলায় চরম ভাবে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বাঁশঘাটা সড়কের একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ এ সড়কের নিত্যদিনের চিত্র নিয়ে ইতিপূর্বে চকরিয়া পৌর সভার মেয়রের কাছে একাধিক বার অবহিত করা হয়েছে। ওই সময় তিনি বলেছিলেন ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কাজ শুরু করবেন। কিন্তু এ পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন কাজের গতি না দেখে এলাকাবাসী চলাফেরার ক্ষেত্রে হতাশায় ভূগছে।
শীত বিদায় নিয়েছে। গ্রীষ্মকাল শুরু হয়েছে। মার্চের পরপর এপ্রিলের প্রথম থেকে বর্ষা শুরু হবে। গত বছর বর্ষায় এ সড়কের করুণ অবস্থাটি এলাকাবাসীর বারবার মনে পড়ে। হাটু পরিমাণ ময়লাযুক্ত পাণির উপর দিয়ে চকরিয়া পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ড “বাঁশঘাট” সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্থানীয়সহ ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন যাতায়াত করেছে।
জরুরী ভাবে সড়কটি সংস্কার করা না হলে হয়তো আগামী বর্ষাতেও এ এলাকার লোকজন যাতায়াত করবে অনেক কষ্টের মধ্যে। স্থানীয়রা জানান পৌর মেয়র নিজেই সড়কটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি স্বচক্ষে সড়কের অবস্থা দেখেছেন। এলাকাবাসীকে আশ্বস্থও করেছিলেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কাজের কাজ হয়নি। কবে এসড়কের কাজ শুরু হবে এমন অনিশ্চয়তা ভূগছে এ এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় লোকজন দাবী করেছেন, পৌর কতৃপক্ষ রাস্তার দু’ পার্শ্বের বাসিন্দারা জায়গা না ছাড়ার অজুহাত তুললেও রাস্তার কাজ শুরু হলে তারা স্ব-প্রনোদিত হয়ে ভূমি ছাড়বে বলে মন্তব্য করেন। ইতিমধ্যে চকরিয়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে রাস্তা ও ড্রেনেজের কাজ চলছে। হয়তো আগামী বর্ষার আগে এসব কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত হবে।
শুধুমাত্র বাঁশঘাটা সড়কের ক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এলাকাবাসী চরম ভাবে হতাশ, কারণ তারা দূর্দশগ্রস্থ। ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াতকারী বাঁশঘাট রোড় এলাকার সমাজ উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ‘মারজুক রাসেল হীরা’ বলেন, চকরিয়া পৌরসভা প্রথম শ্রেণীর। কিন্তু চিরিংগা বাঁশঘাট সড়কের বেহাল অবস্থা দেখলে মনে হয় প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার নামেই আছে কাজে নেই।
চকরিয়া পৌর সভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন শীঘ্রই বাশঁঘাটা সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হবে। তবে এ সড়কের কাজটি শুরু করতে গেলে স্থানীয় লোকজনকে ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ সড়ক প্রশস্থ করণের সহায়তা করতে হবে। জায়গা না ছাড়লে রাস্তার কাজ করা পৌরসভার পক্ষে কষ্টকর হয়ে দাড়াবে। অন্যান্য ওয়ার্ডে বর্তমানে ড্রেনেজ ও রাস্তার কাজ চলছে। সেখানে যারা ভূমি ছাড়েনি তাদের ভূমি পূণঃ উদ্ধারে পৌরসভা বোল্ড ড্রেজার চালাতে কৃপনতা করেনি। এসড়কের ক্ষেত্রে অনুরূপ পদক্ষেপ নিতে হবে।