চট্টগ্রাম নগরবাসী জলবদ্ধতা আতংঙ্কে

0

বিশেষ প্রতিনিধি, সিটি নিউজ :: অবিরাম ভারি বর্ষণ নগরবাসীর দুর্দশা কল্পনাতীতভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। টানা বৃষ্টিতে জলবদ্ধতা আতংঙ্কে রয়েছে নগরবাসী।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস হতে জানা যায়, বন্দরনগরী চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় বর্ষণের পরিমাণ ছিল ৭৯.২ মি. মি.।

মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও দমকা হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এদিকে, একটানা ভারি বর্ষণে নগরীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমতে থাকে। বড়পোল, চকবাজার, বহদ্দারহাট, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, হালিশহর, আগ্রাবাদ, পাঠানতলী, মাদারবাড়ী সহ বহুস্থানে হাঁটু পানি জমে যায়। শহরের বিভিন্ন জায়গায় নৌকায় মানুষ চলাচল করছে। জলাবদ্ধতা যেন নগরবাসীর উপর অভিশাপ হিসাবে ভর করেছে। সহসায় এর থেকে মুক্তির কোনো উপায় মিলছেনা। এমন সু-সংবাদও নগরবাসীর কাছে নেই। সবমিলিয়ে নগরবাসী ভালো নেই।

নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে যেখানে রাস্তা-ঘাট কাটা হয়েছে। ম্যানহোল চুরি হয়ে গেছে সেখানে পানির নিচে অদৃশ্য হয়ে যায় গর্তগুলো। এতে যত্রতত্র রিক্সা ও টেক্সী পড়ে দূর্ঘটনা ঘটায় ও শত শত যাত্রী আহত হয়। অনেকে ময়লা পানিতে ভিজে একাকার হন। প্রবল বর্ষণের ফলে রাস্তায় রিক্সা, টেক্সী, কারের সংখ্যা কমে যায়। সুযোগ বুঝে যানবাহনের ভাড়াও এক লাপে দ্বিগুণ-তিনগুণ হয়ে যায়। ফলে একদিকে যানবাহন মেলা কঠিন হয়ে পড়ে অন্যদিকে চালকরা তাদের মেজাজ মর্জি মতো গন্তব্যে যেতে চাইলে নাগরিকদের দুর্ভোগ চরমে ওঠে।

নগরীর নিম্নাঞ্চলবাসীরা চোখের জলে নাকের জলে একাকার হন। কিন্তু সমস্যার কোনো সুরাহা হয় না। নগরীর বিভিন্ন এলাকার পানি নিষ্কাশনের যেসব ড্রেনেজ ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলোও ঠিক মতো দেখার লোক নেই। অধিকাংশ ড্রেনেই নানারকম ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখার কারণে সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে দুর্ভোগ কিছুটা কমার কথা থাকলেও তা কমছেনা। কিন্তু এই অব্যবস্থা আর কতদিন চলবে।

বর্ষা মৌসুমে নগরীতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা ঘরেও ঢুকে পড়ে পানি। এই সমস্যা সবার মুখে মুখে কিন্তু বাস্তবায়ন যেন ফাইল চাপা হয়ে পড়ে আছে। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে রাস্তা সংস্কারের কাজ চলার কারণে দূর্ভোগ আরো বেড়ে চলেছে। বর্ষার আগমনে নগরবাসীর জীবনে নেমে আসছে প্রতিনিয়ত নানা সমস্যা। এই সমস্যার সমাধান কি নেই? আর কতকাল নগরবাসী এভাবে জলাবদ্ধতার উপর ভাসবে আর কাঁদবে?

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.