চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের তান্ডব, টিভি গাড়ী ভাংচুর
চবি প্রতিনিধি, সিটি নিউজঃঃ পুলিশের লাঠিপেটার প্রতিবাদ প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি তুলে ছাত্রলীগের একাংশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ে তান্ডব চালিয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে এ হমলা চালানো হয়।
সোমবার দুপুরে ক্যাম্পাসে প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও আ জ ম নাছিরের আনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর রাতে দুইটি হলে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় ধারালো ও দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
তল্লাশীর সময় ‘পুলিশের দুর্ব্যবহারের’ প্রতিবাদে ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে নাছিরের অনুসারী চবি ছাত্রলীগের অংশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে দিয়ে সেখানে অবস্থান নেয়। আধাঘণ্টা পর পুলিশ এসে লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল ছুড়ে তাদের সরিয়ে দেয়।
এর কিছুক্ষণ পরই ছাত্রলীগের ওই অংশের কয়েকজন কলা অনুষদ ভবনে প্রক্টর কার্যালয় ও পরিবহন দপ্তরে গিয়ে ভাংচুর চালায়। হামলাকারীরা প্রক্টর কার্যালয় ছাড়াও বাইরে থাকা প্রক্টর, সময় টেলিভিশন ও অন্য একটি গাড়ি ভাংচুর করে।
এছাড়া পরিবহন দপ্তরে নয়টি বাস, তিনটি মাইক্রোবাস ও একটি পিকআপ ভ্যান ভাংচুর করা হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয় সুত্র জানায়। হামলার সময় সেখানে প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী ছাড়াও কলা অনুষদের ডিন মো. সেকান্দার চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।
সময় টিভির চট্টগ্রামের প্রতিবেদক পার্থ প্রতীম বিশ্বাস বলেন, প্রক্টরের সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় কয়েকজন ছাত্র এসে অফিসে ইট নিক্ষেপ শুরু করে।তারা চলে যাওয়ার সময় সময় টিভির, প্রক্টরের ও একটি বাইরের গাড়ি ভাংচুর করে বলে জানান তিনি।
কার্যালয়ে থাকা যমুনা টিভির প্রতিবেদক আরিফুর সবুজ বলেন, প্রথমে বাইরে থেকে ছাত্রলীগ কর্মীরা ইট নিক্ষেপ করা শুরু করে। ওই সময় আমরা নিজেদের রক্ষায় মাটিতে বসে গেলে তারা কার্যালয়ের ভেতরে আমাদের লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে। ছাত্রলীগের ছেলেরা চবিতে শেখ কামাল জিগন্যাসিয়ামেও ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা সিইউজে কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় বক্তারা পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানান।দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার জন্য জোর দাবি জানান।