ছাত্র রাজনীতি থেকে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক

0

বিশেষ প্রতিনিধি, সিটিনিউজবিডি :    আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো দলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ওবায়দুল কাদের ।

ওবায়দুল কাদের ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে পথ হেঁটেছেন। ৭৫’র উত্তর কারাবন্দী অবস্থায় ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও তিন দফা সরকারের সফল মন্ত্রী হিসেবে কখনো সরকারি কখনো বা দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেশের এমন এলাকা নেই যেখানে বার বার তিনি যাননি। দীর্ঘদিন শেখ হাসিনার হয়ে ছাত্রলীগের অভিভাবকত্ব করায় সারাদেশের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গেও রয়েছে তার নিবিড় যোগাযোগ।

একদিকে তার প্রতি নেতাকর্মীদের সমর্থন আগেভাগেই ছিল। কারও নীরব কারও বা সরব। বরাবর শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যের পরীক্ষায় এতোটাই উত্তীর্ণ যে শেখ হাসিনার বাইরে দলের অভ্যন্তরে ভুলেও কারও লোক হননি। এমনকি শেখ হাসিনার ইচ্ছার বাইরে দলের সাধারণ সম্পাদক পদে কখনো প্রার্থী হননি ।

রবিবার বিকালে সম্মেলনের শেষ দিনের নির্বাচনী অধিবেশনে সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন সৈয়দ আশরাফ নিজেই। এরপর এই পদে আর কোনো নাম প্রস্তাব না পাওয়ায় ওবায়দুল কাদেরকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বড় রাজাপুর গ্রামে ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ওবায়দুল কাদেরের জন্ম গ্রহন করেন । বর্তমানে তিনি এখন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। ওবায়দুল কাদেরের বাবার নাম মোশাররফ হোসেন। তিনি কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহপাঠী ছিলেন। সরকারি চাকরি ছেড়ে কাদেরের বাবা শিক্ষকতার পেশায় যোগ দেন। ওবায়দুল কাদেরের মায়ের নাম ফজিলাতুন্নেসা।

বসুরহাট সরকারি এ এইচ সি হাইস্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তিনি মেধাতালিকায় স্থান পান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। কাদেরের স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা আইনজীবী।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.