জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ২৯ অক্টোবর

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :  জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলার রায় আগামী ২৯ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে আদালত। পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন। রায়ের দিন পর্যন্ত খালেদা জিয়া জামিনে থাকবেন বলেও জানান আদালত। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬ মামলার মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয় মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হলো।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কয়েকটি ধার্য তারিখে আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন না করায় বিচারের এ অংশটি বাদ দিয়েই রায়ের তারিখ নির্ধারণের জন্য আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। আদালত তা আমলে নিয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সমাপ্তি ঘোষণা করে এই আদেশ দেন।

এ মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য গত ১২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সেদিন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। তার পরিবর্তে খালেদার কাস্টডি আদালতে পাঠানো হয়।

সেখানে উল্লেখ করা হয়, খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে ‘অনিচ্ছুক’। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বরও খালেদার ‘অনিচ্ছা’র কথা জানিয়ে একই কাস্টডি পাঠানো হয় আদালতে।

সেদিন মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে কি-না, এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। পরে আদেশে আদালত বলেন, ‘মামলাটা পৌনে দুই বছর যাবত যুক্তিতর্ক শুনানির পর্যায়ে আছে, খালেদা জিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতে হাজির হচ্ছেন না। মামলার কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে। অন্য আসামিরাও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’

এমতাবস্থায় খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই অন্যান্য আসামির পক্ষে ‍যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন আদালত। পরে শুনানি পুনরায় শুরুর জন্য ২৪, ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়।

জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- তার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

দুদকের করা আরেক মামলা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.