তিন ব্যাংকের পরীক্ষা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত

0

সিটিনিউজ ডেস্ক :: রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, রূপালী ও জনতা ব্যাংকের তিন পদে নিয়োগের কার্যক্রম বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আজ বৃহস্পতিবার  (১১ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন।

আদালতে ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জিয়াউর রহমান। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট রাশেদুল হক খোকন।

এ আদেশের ফলে ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় ওই তিন ব্যাংকের সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষা নিতে আর কোনো বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

২৮ জন পরীক্ষার্থীর করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৭ জানুয়ারি সোনালী, রূপালী ও জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার, অফিসার (জেনারেল) ও অফিসার (ক্যাশ) পদে নিয়োগের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

২০১৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংক ৭০১টি শূন্য পদে অফিসার ও অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। ওই বছরের ২৬ জুলাই রূপালী ব্যাংক ৪২৩টি শূন্য পদে সিনিয়র অফিসার ও ৩ আগস্ট জনতা ব্যাংক ৭৩৬টি শূন্য পদে অ্যাসিসট্যান্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।

এসব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে গত বছরের ২৩ অগাস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক ৮টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এক হাজার ৬৬৩টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা (সাধারণ) শূন্য পদের জন্য সমন্বিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। এরপর ২৯ আগস্ট আবার তিন হাজার ৪৬৩ টি কর্মকর্তা (সাধারণ) শূন্য পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। সর্বশেষ গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর দুই হাজার ২৪৬টি কর্মকর্তা (ক্যাশ) শূন্য পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ১২ জানুয়ারি নিয়োগ পরীক্ষার দিন রাখা হয়।

২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তির পর আবেদন করা প্রার্থীদের পরীক্ষা না নিয়ে ২০১৭ সালে আবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় বগুড়ার আসাদুজ্জামান, কুমিল্লার আবু বকরসহ ২৮ জন নিয়োগ পরীক্ষার সার্কুলার বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করলে শুনানি নিয়ে নিয়োগ পরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন আদালত। এ ছাড়া ওই বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ২০১৭ সালের বিজ্ঞপ্তির আওতায় পরীক্ষা নেওয়ার আগে ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তির আওতায় নিয়োগ পরীক্ষা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুলও জারি করে আদালত।

বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থসচিব, ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.