নারায়নগঞ্জ রণক্ষেত্রঃ মেয়র আইভিসহ আহত অর্ধশত

0

সিটি নিউজ ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের ফুটপাতে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে সাংসদ শামীম ওসমান ও মেয়র আইভী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে মেয়র আইভি সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারী) বিকালে নারায়নগঞ্জের চাষাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়াসহ দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্ট গানের ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে নগরীর সাধুপৌলের গির্জার কাছে মেয়র আইভী ও শামীম ওসমানের সমর্থক হকারদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনার পর চাষাঢ়ায় এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শামীম ওসমান বলেন,

হকারদের বিষয়কে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে কেউ কেউ অশান্ত করা চেষ্টা করছে। এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়। যারা হকারদের সরিয়ে দিয়েছে, তাদের ওপর হামলা করেছে এর বিচার আল্লাই করবেন। তিনি বলেন, আমি বিএনপির অনেক ক্যাডারকে দেখেছি। বিএনপির অনেক মার্ডার মামলার আসামিরা মেয়রের মিছিলে প্রবেশ করে নারায়ণগঞ্জে অশান্তি করার চেষ্টা করেছে। মেয়র বোকামি করতে পারে কিন্তু আমি করবো না।
তিনি আরো বলেন, হকাররা বসবে কী বসবে না সেটা ঠিক করবে জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার এবং প্রশাসন। বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত হকার আছে এবং থাকবে।

 

এসময় উপস্থিত লোকজনদের উদ্দেশ্য করে শামীম বলেন,আপনারা সরে যান। ওদের ঠিক করার জন্য আমি একাই যথেষ্ট। আমরা নামলে কয়েক হাজার নামব না। কয়েক লাখ নামব। আমি রাস্তায় আছি,দেখব কার কত শক্তি।
এদিকে মেয়র আইভি সাংবাদিকদের বলেন, আমি শান্তিপূর্ণভাবে হেঁটে আসছিলাম। চাষাঢ়ার রাইফেলস ক্লাবে বসে শামীম ওসমান আমার ওপর হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বললেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর সাধুপৌলের গির্জার কাছে হকারদের হামলায় আহত হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তিনি।

আইভী বলেন, শামীম ওসমান কেন মানুষের হাটার অধিকার হরণ করবে। তিনি (শামীম ওসমান) কোন কারণে আমার ওপর আক্রমণ করবেন? এটা নিরস্ত্র লোকের ওপর সশস্ত্র হামলা। আমি মৃত্যুকে ভয় করি না।শহরে অনেককেই খুন করেছেন তারা । শামীম ওসমান লাশের রাজনীতি করেন। তিনি মেধাবী ছাত্র ত্বকীকে হত্যা করেছেন। তাঁর ভাতিজা আজমেরী ওসমান নাট্যকার চঞ্চলকে হত্যা করেছে। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে হবে। তারা আজ আমাকেও খুন করতেন। আমার কর্মীরা আমাকে ঘিরে রাখেন।

এ সময় মেয়র আইভী নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের পদত্যাগ দাবি করেন। মেয়র আইভী বলেন, ঘটনাস্থল চাষাঢ়ায় পুলিশ থাকলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। শামীম ওসমানের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল পুলিশ। এখানকার ডিসি ও এসপি তার (শামীম ওসমান) কথা শোনেন। তার চাটুকারি করেন।
তিনি বলেন, আমি শান্তিপূর্ণভাবে হেঁটে আসছিলাম। প্রশাসন থাকা অবস্থায় শামীম ওসমানের লোকজন আমাদের হামলা করে। পিস্তল দেখায়। আমারতো তার (শামীম ওসমান) মত পিস্তল নেই, তার মত ক্যাডার বাহিনী নেই। শামীম ওসমানের আজকের এই হামলার জবাব জনতার আদালতে দিতে হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.