পটিয়াতে সংসদ নির্বাচনে সরাসরি যাওয়ার প্রত্যাশা- চেমন আরা তৈয়ব

0

গোলাম শরীফ টিটু,সিটি নিউজ : চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের রাজনীতির মানচিত্রে অত্যন্ত দক্ষ সংগঠক ও নারী নেত্রী চেমন আরা তৈয়ব। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক। দলের দু:সময়ে ও ভয়-ভীতিকে উপেক্ষা করে রাজনীতিতে সোচ্চার ছিলেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনে সংসদ সদস্য। করেছেন ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড। উজ্জ্বল ভুমিকা রেখেছেন নারী জাগরনে। তার নেতৃত্বে দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ হয়েছে শক্তিশালী সংগঠন। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী থেকে নিষ্টার সাথে এ দায়িত্ব পালন করছেন। স্বৈরাচারী সরকারের সময়েও দক্ষিণ জেলায় আন্দোলন-সংগ্রাম ও দলীয় কর্মসুচী পালনে অগ্রনী ভুমিকা রেখে প্রশংসিত হয়েছেন।

সিটি নিউজের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে সাবেক এমপি ও দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, নারী নেত্রী চেমন আরা তৈয়ব বলেন,’ রাজনীতি করেছি দীর্ঘদিন। রাজনীতির একটি লক্ষ্য থাকে। এ ছাড়া রাজনীতির পরীক্ষা হচ্ছে নির্বাচন। রাজনীতিবিদদের আশা আকাঙ্খা থাকে ব্যাপকভাবে কাজ করার জন্য পদ-পদবী বা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার। ২০০৮ সালে এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মাঠ থেকে তুলে এনে ’সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি’ করেছেন।

২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য পটিয়া থেকে ৫ জনের নামের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানোর দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশ ছিল। সুধাসদনে ৫ জনের নাম যেন পাঠানো হয়। তখন পটিয়াতে এগার জন প্রার্থী ছিলাম। যখন কোন সমঝোতায় আসেনি তখন গোপন ব্যালটে নির্বাচন হয়। কাউন্সিলরদের গোপন ব্যালটের নির্বাচনে ৫ জনের একজন আমি ছিলাম। তখন দল থেকে এক জনের নাম দিতে হয়। সে হিসাবে বর্তমান এমপি সামশুল হক চৌধুরীর নাম পাঠানো হয়। তৃনমুলের ব্যালটের রায়কে প্রাধান্য দিয়ে আমাকে এমপি করেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন সরাসরি নির্বাচনে যাওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আবারো ঘোষনা দিয়েছেন সংসদীয় নির্বাচনে ৩৩ পার্সেন্ট নারীদের সরাসরি প্রার্থী করবেন। সে হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। সে হিসাবে আমাদের নাম যেন যায়। তিনি যদি উপযুক্ত নারীদের না পান তবে ৩৩ পার্সেন্ট কিভাগে পুরন হবে। এমপি পদে আমি ছিলাম, দক্ষতার সাথে আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। পটিয়ার জনগন চায় দক্ষিণ চট্টগ্রামে একজন নারীকে যদি মনোনয়ন দেওয়া হয় তাহলে নারীদের প্রাধান্য বৃদ্ধি পাবে’। পটিয়াতে আওয়ামী লীগের দ্বির্ধাবিভক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে চেমন আরা তৈয়ব বলেন,’ আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ সংগঠন। বড় দলে কিছুটা সমস্যা থাকে।

পটিয়াতে মাননীয় সংসদ সদস্যের সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের যারা নির্বাচিত ছিলেন, সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক তারা গোপন ব্যালটের মাধ্যমেই নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাশেদ মনোয়ার ও মোহাম্মদ নাসির যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক হয়েছিলেন। কিন্তু জানিনা কি কারনে মাননীয় সদস্যের উনাদের পছন্দ না। শুরু থেকে তিনি সংগঠনকে প্যারালাল করে রেখেছেন। যে সংগঠনের ত্যাগী নেতাদের, তৃনমুল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে নিজেই একাকার করেছেন। যার কারনে দ্বির্ধাবিভক্তি দেখা যাচ্ছে’।

তিনি বলেন,’ আমার রাজনীতি ত্যাগের, ভোগের নয়। মানুষের জন্য, সমাজের জন্য, দলের জন্য, দেশের জন্য কাজ করেছি। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী। দেশের মধ্যে প্রচুর উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। পটিয়াতেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দলীয় কর্মকান্ডের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নচিত্র মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছি। আপনি নিজেও জানেন, আমি রাজপথের একজন কর্মী থেকে এসেছি। তৃনমুলের নেতাকর্মীগনই আমার অহংকার। নারী হয়েও চেষ্টা করছি মানবতার, জনকল্যানে ব্যাপক ভাবে কাজ করার। আল্লাহর অশেষ রহমত, মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় পথ চলছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে ইনশাআল্লাহ এগিয়ে যাব। জনগনই ক্ষমতার উৎস, জনগনই আমার রাজনীতির প্রেরনা। জনগনের পাশে থাকতে চাই। অতীতে ছিলাম, বর্তমানেও আছি। পটিয়ার মাটি আওয়ামী লীগের দুর্জয় ঘাঁটি। পটিয়াবাসীর কল্যানে রাজনীতি হোক শান্তি ও প্রগতির।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.