পটিয়ায় খোলা আকাশের নিচে তারা

0

সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ ও চলাচলের একটি রাস্তা ভেঙে সিএনজি চালক জসিম উদ্দিনের বসত ভিটে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে তার স্ত্রী, ৪ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তান নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। চলতি মাসের গত ১০ জুন প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তাদের এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে ওই সিএনজি চালকের ঘর।

পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী সহ কয়েকজন রাজনীতিক নেতা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান এড. আবদুর রশিদ দৌলতী অনুদান দিলেও সরকারিভাবে এখনো কোন সহযোগিতা পাননি বলে তারা জানান। উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

জানা গেছে, চলতি মাসের ১০ জুন প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার উত্তর ছনহরা গ্রামের সিএনজি চালক জসিম উদ্দিনের বসত ঘরসহ কয়েক একর জায়গা সম্পূর্ণ বিলীন যায়। বর্তমানে পরিবারটি খোলা আকাশের নিচে রয়েছে।

সরকারিভাবে ঢেউ টিন বরাদ্দ পাওয়ার জন্য জসিম উদ্দিন উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জসিমের ৪ মেয়ে ও ১ পুত্র সন্তান লেখা পড়া করলেও বর্তমানে তাদের লেখা পড়া বন্ধ রয়েছে। পটিয়া উপজেলা যুবলীগের প্রাক্তন সদস্য ছৈয়দুল হক তালুকদার জানিয়েছেন, তাদের এলাকায় শ্রীমাই খালের বেড়িবাঁধ নির্মাণে বাধা দেওয়ার কারণে প্রতি বর্ষা মওসুমে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়।

চলতি মওসুমে যেখানে বেড়িবাঁধ ও চলাচল রাস্তা ভেঙে গিয়ে একটি গাছ বাগান ও বাঁক থাকার কারনে বৃষ্টির পানি নিস্কাশন হতে না পেরে সিএনজি চালক জসিমের বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। ছনহরা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এড. আবদুর রশিদ দৌলতী জানান, বর্তমানে ছনহরায় পাহাড়ী ঢলে শ্রীমতির বেঁড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় অনেক পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। পরিবার গুলো আর্থিকভাবে খুবই দুর্বল হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমি এব্যাপারে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.