পটিয়ায় নষ্ট টি.এস.পি সার বাজারে বিক্রি, আটক-১

0

সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধি :: নষ্ট হওয়া টি.এস.পি. সার রোদে শুকিয়ে বাজারে বিক্রয় করার অভিযোগে চট্টগ্রামের পটিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত একজনকে আটক করেছে। সারের গুদামটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার মূল হোতাকে আটকের চেষ্টা চলছে।

বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেলুল কাদের, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু জাফর মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন সহ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে সারের গুদাম জব্দ ও একজনকে আটক করেন।

আটককৃত ব্যক্তি হলো পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন এলাকার মোহাম্মদ আইয়ুবের পুত্র আবু বক্কর (৩৭)। ভ্রাম্যমান আদালত জানায় চট্টগ্রাম নগরীর মাঝির ঘাট ষ্ট্যান্ড রোডের সার ব্যবসায়ী মেসার্স নোয়াপাড়া ট্রেড ইন্টান্যাশনাল বিদেশ থেকে এক হাজার মেট্টিক টন টি.এস.পি. সার আমদানি করেন।

যার এল.সি.নং- ২৩০৭, গত ২৫ আগষ্ট আমদানিকৃত সার চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গর করার পর জাহাজে পানি ঢুকে প্রায় ৫০০ মেট্টিক টন সার ভিজে যায়। এতে নষ্ট সার নদী থেকে অপসারণের জন্য মাঝির ঘাটের ব্যবসায়ী মেসার্স শাহ্ আমানত ট্রেডিং এর মালিক ইউনুচ তালুকদারকে নোয়াপাড়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এর মালিক ঠিকাদার নিয়োগ করেন।

ইউনুছ তালুকদারের উক্ত প্রতিষ্ঠানের অফিস মাঝির ঘাট ষ্ট্যান্ড রোডের খান মার্কেটে অবস্থিত। ইউনুছ তালুকদার নষ্ট সার কর্ণফুলী নদী দিয়ে শিকলবাহা খালের ভেল্লাপাড়া ব্রিজ এলাকার সন্নিকটে একটি গুদামে সংরক্ষণ করেন। সেখানে আবু বক্করকে ইউনুছ তালুকদার সার গুলো শুকিয়ে প্যাকেটজাত করার জন্য দায়িত্ব দেন।

আবু বক্কর জানান, গত ২০১৭ সালের আগষ্ট মাস ধরে প্রায় ৭ হাজার বস্তা সার রোদে শুকিয়ে প্যাকেট ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করেছে।

বর্তমানে ৫০ কেজি টি.এস.পি সারের বাজারের খুচরা মূল্য প্রতিকেজি ২৫ টাকা। ৫০ কেজির বস্তার পাইকার দর ১০০০ টাকা। নষ্টকৃত টি.এস.পি ৭০০০ হাজার বস্তা সারের মূল্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা।

ইউনুচ তালুকদারের বাড়ী পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া গ্রামে বলে জানা গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেলুল কাদের জানান বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার, সেক্ষেত্রে কিছু অসাধু ব্যক্তি সার, কীটনাশক সহ বিভিন্ন কৃষি দ্রব্য ভেজাল করে লাখ লাখ টাকা ফায়দা লুঠে আসছে।

এই ঘটনার সাথে জড়িত ইউনুছ তালুকদারকে আটক করা সম্ভব হয়নি, বর্তমানে উক্ত গুদামে আরো প্রায় ৫০ হাজার বস্তা সার রয়েছে। এই সার গুলো কৃষকের কোন উপকারে আসবে না, কারণ পানিতে ভিজার পর সার গুলোর কেমিক্যাল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এগুলোতে মাটি ছাড়া আর কিছু নেই। এই সার বিক্রয়ের মাধ্যমে কৃষকদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে।

মেসার্স শাহ্ আমানত ট্রেডিং এর মালিক ইউনুছ তালুকদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে ঘটনার মূল হোতা শত শত কৃষকের সাথে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা আয় কারী পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের মেলঘর এলাকার মো: ইউনুচ তালুকদারকে গ্রেফতার না করায় পটিয়ার সচেতন জনগণ ও কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের স ার সৃষ্টি হয়েছে।

এব্যাপারে একাধিক কৃষক ইউনুচ তালুকদারকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.