সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধি : পটিয়া ইন্দ্রপোল শিল্পাঞ্চলের প্রধান সড়কটি কাদা জলে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিদিন এখানে আসা অর্ধ শতাধিক ইন্ড্রাষ্ট্রি থেকে লবণ ও কাচা মাল আনা নেওয়ার কাজে নিয়োজিত ট্রাক ও সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। ফলে তাদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
জানা যায়, পটিয়া পৌর সদরের শত বছরের প্রাচীন ইন্দ্রপোল শিল্পাঞ্চলে অর্ধ শতাধিক লবণ শৌধনাগার ইন্ড্রাষ্ট্রিজ রয়েছে। এখানে নানা ভাবে ৫ হাজার মানুষের কর্ম সংস্থান সৃষ্টি হওয়ায় এখানে সব সময় প্রাণচাঞ্চল্যতা বিরাজ করে। প্রতিদিন চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শত শত লবণ আমদানি কারকরা তাদের প্রয়োজনীয় লবণ সরবরাহ করতে সমবেত হয়। সকাল থেকে রাত অব্দি এখানে লবণ লোড এবং আনলোড করা হয়। এক সময় পটিয়া ইন্দ্রপোল চাঁনখালী দিয়ে নৌ-বুট যোগে এখানে কক্সবাজার-টেকনাফ, চকরিয়া, মহেষখালী ও বাঁশখালী থেকে লবণের কাচামাল আমদানি করা হলেও এখন সড়ক পথে লবণের কাচা মাল আমদানি হচ্ছে। ফলে এ শিল্প এলাকার প্রধান সড়কটি এখন খানা-খন্দকে ১/২ ফুট পর পর শত শত গর্তে রূপ নেওয়ায় এ সড়ক দিয়ে চলাচল এখন এক প্রকার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এর সাথে জড়িতরা অবিলম্বে এটি সংস্কারের জন্য পটিয়া পৌরসভা ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেছে। লবণ ব্যবসায়ী মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প এলাকা। দেশের ৪০ ভাগ লবণের চাহিদা এ শিল্প এলাকা থেকে পূরণ করা হয়। বর্তমানে এটির উন্নয়নে সরকারের উদাসীনতায় ব্যবসায়ী সহ সবাই হতাশ হয়ে পড়েছে। আমরা এটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
ইন্দ্রপোল লবণ মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাবেক কমিশনার ফজলুল হক বলেন, এটি বিভিন্ন সময়ে সংস্কার হলেও ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে অসংখ্য গর্ত হয়ে এটি চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পটিয়া পৌরসভার মেয়র ও ইন্দ্রপোল লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, সম্প্রতি এটি সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু এত বেশী ভারী যানবাহন এটির উপর দিয়ে চলাচল করেছে যে সড়কটি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। আমরা এটি স্থায়ী সড়ক নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছি। আশাকরি আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে এ সড়ক উন্নয়ন হলে আর গর্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
এ বিভাগের আরও খবর