পটিয়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নিয়ে সংশয়
সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পটিয়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হলেও সামনের পার্কিং স্পেইস না থাকায় ঠিকাদার ভবনটি মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে বুঝিয়ে দিতে পারছেনা বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রাথমিক ভবন নির্মাণস্থল থেকে কিছু দূর পিছনে এসে ভবন নির্মাণের ফলে স্পেইস সঙ্কট হয়।
এসময় পটিয়ার মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরীর অনুরোধে পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশীদ, সাবেক মহকুমা ভবন সংলগ্ন পৌর ভবনের সম্মুখে অবস্থিত স্মৃতিসৌধের পাশ থেকে কিছু জায়গা দেওয়ার আশ্বাস দিলেও অদ্যাবধি তা না দেওয়ায় আমরা ভবনের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ার পরও আমরা ভবনটি ঠিকাদারের কাছ থেকে বুঝে নিতে পারছিনা।
এব্যাপারে পটিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান পৌরসভা সরকারী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের জায়গা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানকে দিতে হলে তা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দিতে হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এ জায়গার ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার পৌরসভা বরাবরে কোন লিখিত আবেদন করেননি। যদি তিনি বিধিমালা মোতাবেক আবেদন করেন তাহলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।
জানা যায়, ৩ বছর পূর্বে সরকার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য পটিয়া বাস ষ্টেশন সংলগ্ন সাবেক পৌর কার্যালয় সম্মুখস্থ খালি জায়গায় ৫ কাটা ভূমি সরকারী ভাবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে রেজিষ্ট্রি মূলে প্রদান করে। এতে সরকারের পক্ষে তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও সংসদের পক্ষে কমান্ডার মহিউদ্দিন চুক্তি পত্রে স্বাক্ষর করেন। পরে এলজিইডির কারিগরি সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় পটিয়ায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে টেন্ডার আহবান করে। এতে সর্বনি¤œ দরদাতা হিসেবে মেসার্স জে.জে ট্রেডার্স ১ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণের কার্যাদেশ পায়।
সম্প্রতি এ ভবনের চার তলার কাজ সম্পন্ন হয়। কিন্তু সিডিউল মোতাবেক পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে কমপ্লেক্সের চারপাশে সীমানা প্রাচীর ও সেপ্টি টাংকি এবং সামনের স্পেইস না পাওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গত ২ মাস ধরে কাজ বন্ধ রেখেছেন বলে সংসদের কমান্ডার মহিউদ্দিন জানান।
বর্তমানে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও পৌরসভার আশ^াসকৃত ভূমি না পাওয়ায় ঠিকাদার কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তাদের নির্মিত কমপ্লেক্স বুঝে নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন কমান্ডার মহিউদ্দিন। তিনি এব্যাপারে পটিয়ার সাংসদ আলহাজ¦ সামশুল হক চৌধুরী ও পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশীদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।