পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতা,খালে বিলীন ৩০টি বসতঘর

0

এইচ.এম.সাইফুদ্দীন,ফটিকছড়ি :: ফটিকছড়িতে হারুয়ালছড়ি খালে ব্যাপক ভাঙনে হুমকির মুখে উপজেলার মধ্য হারুয়ালছড়ি গ্রামের বিশাল এলাকা। ইতিমধ্যে খালে বিলীন হয়ে গেছে ইউনুছ মাস্টার, মো. সোলাইমান, আবু জাফর, মো.লেদু, মনা, বেদারুল, এনাম, শফি, নুরুল আলম,আমিন শরীফ, মৃত গনির পরিবারসহ আরও প্রায় ২০টি বসতঘর।

এদিকে খালে বিলীন হওয়ার পথে আমিন শরীফ, মাহাবুল আলম সওদাগর, মৃত হাজি শফিউল আলম, আবুল কাশেম, আবুল বশর,আবুল হাসেম, কাশেম ড্রাইভার, মো. ইসমাইল ও মো. বেলালের বসতভিটা।

তবে কোনো মাথা ব্যথা নেই জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের। এতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

সরেজিমন দেখা যায়, খালের পাড়ে নুরুল আলমের বসতঘর। ঘরটির প্রথম অংশ খালের ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুলে আছে টিন, বেড়া ও কাঠ। যে কোনো সময় সম্পূর্ণ ঘরটি ভেঙে খালে বিলীন হয়ে যাবে।

ভাঙনের শিকার সত্তরোর্ধ্ব রবিজা খাতুন নামের এক বৃদ্ধা মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন খালের পাড়ে। সব হারিয়ে তার সহায়-সম্বল বলতে আছে শুধু বসতভিটাটুকু। তাও এখন হারুয়ালছড়ি খালে বিলীনের পথে। এখন তিনি পরিবারকে নিয়ে অনেকটা নিঃস্বভাবে দিনাতিপাত করছেন।

রবিজা খাতুনের মতো আরও ৩০ পরিবার এখন হারুয়ালছড়ি খালের করাল গ্রাসে বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব প্রায়। খালের ভাঙনে চলাচলের জায়গাটুকুও নেই তাদের। দুর্যোগ যেন তাদের নিত্যসঙ্গী।

এই চিত্রটি হচ্ছে উপজেলার মধ্য হারুয়ালছড়ি গ্রামের দরপপাড়া এলাকার। রাক্ষসী হারুয়ালছড়ি খাল গিলে খেয়েছে এলাকার বসতভিটা থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, মাজার, মসজিদ,ফসলি জমিও।

এ ব্যাপারে পানি উম্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রাম উপবিভাগীয় প্রকৌশলী অরূপ কুমার চক্রবর্তীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হারুয়ালছড়ি খালের ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় বলেন, শিগগিরই ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.