পুলিশের গাড়িতে আগুন, ২ মামলায় আসামি তিন শতাধিক

0

অনলাইন ডেস্ক : কুমিল্লা সদর উপজেলার বালুতুপা এলাকায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় নিহত যুবক রাসেলের লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগে পুলিশের গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় দু’টি মামলা হয়েছে। কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৩শ’ জন ও নিহতের ভাই মো. মানিক বাদী হয়ে মাইক্রোবাস চালক আবুল বাশারের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে মামলা দায়ের করেছেন। বাশার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার দৈয়ারা গ্রামের সুলতান আহমেদের ছেলে।

পুলিশের গাড়ি পোড়ানোর মামলাটি দায়ের করেন সদর দক্ষিণ থানার এএসআই জহিরুল আলম।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার পুলিশের ব্যবহৃত গাড়ির ধাক্কায় রাসেল নিহত হয়। ভোরে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশের ৪ জন সদস্য একটি মোটরসাইকেল চালককে ধাওয়া করে। পরে সদরের বালুতুপা এলাকায় সড়কে এসে মোটরসাইকেলের যুবকটি পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় রাস্তার পাশে পড়ে গিয়ে মারা যায়। তারপর যুবকের মরদেহটি ঘটনাস্থল থেকে ২০০গজ দূরে বালুতুপা এলাকার ফসলী জমিতে পাওয়া যায়। স্থানীয়দের বক্তব্য, পুলিশ লাশটি গুম করতে চেয়েছিল। স্থানীয় জনতা পুলিশের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় উত্তেজিত জনতা পুলিশ কনস্টেবল খোরশেদ আলম (৪৮), মিজানুর রহমান (৪৭) ও কামাল উদ্দিনকে (৫৫) আটক করে মারধর করে। অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটককৃত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে।

নিহত রাসেল নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার ভীমপুর গ্রামের মৃত সফিউল্লার ছেলে। রাসেল নিহতের ঘটনা তদন্তে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আবদুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে তিন সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আবু ছালাম মিয়া জানান, নিহত মো. রাসেলের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল চুরি, মাদক পাচার এবং চোরাকারবারী অপরাধে পূর্বে ৪টি মামলা রয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে লাশ গুমের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত চলছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.