ফটিকছড়িতে সাদী সরকারের অগ্রগতির ফেরিওয়ালা

0

জুবায়ের সিদ্দিকী,চট্টগ্রাম : ফটিকছড়িতে জোটের আর নয়, দলীয় প্রার্থী চায় আওয়ামী লীগের তৃনমুলের নেতাকর্মীগন। ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের কোন্দল ও গ্রুপিং এর সর্বশেষ শিকার হয়েছেন নাজির হাট পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থী মুজিবুল হক। কেউ কাউকে ছাড় না দেওয়াতে পদ পদবী আঁকড়ে নেতারা ছড়ি ঘুরালেও তাদের জনপ্রিয়তা যে শুন্যের কোটায় তা এবার প্রমান হয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত একাধিক প্রার্থী হওয়াতে আওয়ামী লীগের নির্দিষ্ট ভোটগুলো ভাগ হয়ে গেছে। এ সুযোগে বিএনপির একক প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। সবার মেয়র হওয়ার খায়েশ হওয়াতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংখ্যা বেড়ে গেছে। এতে করে নৌকা প্রতীকের পরাজয় হয়। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কোন নিয়ন্ত্রন না থাকায় হয়েছে এ দুরাবস্থা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন্দল গ্রুপিং ও দলাদলী না থেকে দুরে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা, দানবীর, সংগঠক, রাজনীতিবিদ সাদাত আনোয়ার সাদীকে মনোনয়ন দেওয়া হলে দলীয় বিরোধের অবসান হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তৃনমুলের নেতাকর্মীগন। ফটিকছড়িতে ইতিমধ্যে শীতার্তদের মধ্যে বস্ত্র বিতরন, নিজের অর্থায়নে হাসপাতালের বিদ্যুৎ সংযোগ চালু, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে থানা পুলিশকে গাড়ি প্রদান, এ্যাম্বুলেন্স প্রদান ও সমাজের অসহায়দের পাশে সবসময় তার সরব উপস্থিতির কারনে সাদী ফটিকছড়িতে সামাজিক ও রাজনীতিক অঙ্গনে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন।

তারুন্যের অহংকারে উজ্জীবিত সহজ-সরল মানুষ সাদী তার যাপিত জীবনের বেশিরভাগ সময়ই কাটিয়েছেন মানুষের কল্যানে, মানুষের সুখে-দু:খে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ডেও এগিয়ে আছেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত একটি রাজনৈতিক পরিবারে বড় হয়েছেন তিনি। রাজনীতির সকল ব্যাকরণ বা ধরাপাত ও মহান মুক্তিযুদ্ধ সবকিছু হয়েছে তার পরিবারকে ঘীরে। ছোটবেলা থেকে তিনি স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্ন দেখান মানুষকে। মানুষকে নিজের দেখানো স্বপ্ন পুরন করাটাই তার স্বপ্ন হয়ে দাঁড়ায়।
তারুণ্যদীপ্ত সাদী দীর্ঘসময় ধরেই নিজের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করে মানুষের সেবা করে চলেছেন। তবে আনুষ্টানিক স্বীকৃতি নিয়ে ফটিকছড়িবাসীর সেবা করার লালিত স্বপ্ন পুরনের জন্য সাদী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্ত হলে দল,সমাজ বা রাষ্ট্রকে তিনি অনেক কিছুই দিতে পারবেন। ফটিকছড়িবাসী মনে করে এবার জোট নয়, দলীয় প্রাথীই মানুষের উন্নয়নের আশা আখাঙ্খা পুরন করতে পারবে।

রাজনৈতিক ঘরানার ও ফটিকছড়ির সম্ভ্রান্ত পরিবারের অদম্য সাহসী, কষ্ট সহিষ্ণু, সদালাপী মানুষ সাদাত আনোয়ার সদী নিজের জন্মস্থান ফটিকছড়িকে একটি আধুনিক ও মড়েল উপজেলা হিসাবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। সারাদেশের মত ল্যাং মারার রাজনীতি, হিংসার রাজনীতি ফটিকছড়িকেও ছাড়েনি। যত নেতা, তত গ্রুপ হয়ে যেখানে রাজনীতির আবহাওয়া উল্টোপথে বইছে, সেখানে সাদী কোন গ্রুপিং পলিটিক্স এর ধারে কাছেও নেই। যেখানে অসহায় মানুষ, যেখানে তৃনমুলের নেতাকর্মীরা, সেখানে তার সরব উপস্থিতি জানান দেয়, সাদী মানবতার কল্যানে ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লড়াইয়ের মাঠে শ্রম, মেধা, ত্যাগ, মেধা মনন দিয়ে নিজের প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাচ্ছেন।

স্বপ্নের ফেরিওয়ালা সাদী এখন গ্রামের মেঠোপথে জনপদে ঘুরে বেড়ান দলের আদর্শ, কর্মসুচী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ফিরিস্তি নিয়ে। মানুষকে জানান দেয়, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গনতন্ত্র সংরক্ষন, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্টা এবং সরকারের অগ্রগতি ও অর্জন সমুহের রক্ষা করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তার মধ্যে আছে মেধা, স্বপ্ন ও শ্রমের মানসিকতা। তার এই উদ্যম, উৎসাহ, আগ্রহ ও আন্তরিকতাকে স্বাগত জানিয়েছে আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড। অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলায় আওয়ামী লীগ ঘরানার পরিচয়ে বা শীর্ষ নেতা পরিচয়ে মাঠে ময়দানে ঘুরে বেড়ালেও অনেকের গ্রহনযোগ্যতা এখন শুন্যের কোটায়। মানুষের সাথে তাদের সম্পৃক্ততা নেই বললেই চলে। শুধু মুষ্টিমেয় দলীয় নেতাকর্মী বেষ্টিত হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির মানচিত্রে এরা অনেক বড় নেতা। এ যেন ঢাল তলোয়ার না থাকলেও নিধিরাম সর্দ্দার। জোটের ও ছোট দলের বড় নেতাদের নিজ এলাকাতেই কখনো সভা সমাবেশ হয়নি। নেই এলাকায় কর্মী।

অথচ তারাও নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকা প্রতীক পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। জোট নয় দলীয় প্রার্থী চায় ফটিকছড়িবাসী। এই প্রার্থী হিসাবে তৃনমুলের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা সাদীকে মনোনয়ন দেওয়া হলে বিজয় তার সুনিশ্চিত। এই তো গেল সপ্তাহে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা খরচ করে একটি পুরাতন এ্যাম্বুলেন্সকে সচল করে ফটিকছড়ি সরকারী হাসপাতালে প্রদান করেছেন তিনি। রাজনীতি ও সামাজিকতার পাশাপাশি একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসাবে সুপরিচিতি রয়েছে তার।

গ্রামের মেঠোপথে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রতিভাবান দক্ষ, তরুন ও কিশোর খেলোয়াড়দের সংগঠিত করারও একটি মহৎ উদ্যোগ তিনি নিয়েছেন। মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, আশ্রম সহ ধর্মীয় প্রতিষ্টানে অকাতরে অনুদান সহ সাহায্যের হাত প্রসারিত করে চলেছেন সাদী নি:স্বার্থভাবে। যে মানুষ মানুষের কল্যানে নিবেদিত প্রাণ, মানুষের সুখে-দু:খে সাথী হয়। তাকেই এবার নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চায় ফটিকছড়িবাসী।
যারা শস্তা জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের ব্যক্তিত্ব জাহির ও রাজনীতিকে ব্যবসায় পরিনত করেছেন তাদের থেকে আলাদা চরিত্রের একজন সাদামাটা মানুষ সাদাত আনোয়ার সাদী। তিনি ছুঁটছেন গ্রামের মেঠোপথ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষকে সেবা দিতে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাতিঘর সাদী এগিয়ে যাবেন নতুন দিগন্তের প্রত্যাশায়। পরিশেষে কবি নজরুলের পঙ্কতি দিয়ে বলি,’ব্যথিত দু:খীর জন্য কাঁদে যার প্রাণ, বিপদের দিনে সহায় খোদা বিজয়ী করে রাখো তার মাণ’। মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অবিনশ্বর হোক সাদীর পথচলা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.