ফরিদ মাহমুদের কারিশমা প্রশংসীত রাজনৈতিক অঙ্গনে

0

গোলাম শরীফ টিটু : আওয়ামী লীগ সরকার দুই দফা ক্ষমতার শেষ সময়ে এসে বেশিরভাগ নেতাকর্মীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন আখের গুছানোর কাজে। রাজনীতির এক নষ্ট সময় পার করছে দেশ। তা সত্বেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে প্রগতির পথে। উন্নয়নের ধারবাহিকতায় সরকার দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে সক্ষমতার দেশের কাতারে। গ্রুপিং-কোন্দলের ধারে কাছে না থেকে, ক্ষমতার হালুয়া রুটির ভাগ না বসিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ও আদর্শকে দলের নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষের মাঝে পৌছে দিতে মাঠ পর্যায়ে সুশৃঙ্খল ও পরিকল্পিতভাবে পোষ্টার, লিফলেট, ব্যানার ও প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শন করছেন একজন মেধাবী যুবলীগ নেতা।

বিগত জোট সরকারের জ্বালাও পোড়াও, পেট্রোল সন্ত্রাস, সংখ্যালঘুদের উপর হামলার নৃশংস ও ন্যাক্কারজনক ঘটনার চিত্রগুলোও অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধা ও মননে জনসম্মুখে তুলে ধরছেন একজন ফরিদ মাহমুদ। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক। ’উন্নয়ণের দীপ্তশিখা জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শিরোনামে একটি লিফলেট ছেড়েছেন নগরীতে। ইতিমধ্যে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ৩, ৯, ১৭, ১৯ ও ৩৭ নং ওয়ার্ডে তথ্য মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শন করেছেন, যা এখনও চলমান রয়েছে।

জননেত্রী শেখ হাসিনার ১০ টি উদ্যোগও তুলে ধরা হচ্ছে। যেমন-১) একটি বাড়ি একটি খামার, ২) আশ্রয়ন প্রকল্প, ৩) ডিজিটাল বাংলাদেশ, ৪) শিক্ষা সহায়তা কর্মসুচী, ৫) নারীর ক্ষমতায়ন, ৬) ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, ৭) কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, ৮) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচী, ৯) বিনিয়োগ বিকাশ ও ১০) পরিবেশ সুরক্ষা।

বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সংগঠক ফরিদ মাহমুদ মহানগরীতে লিফলেট ও পোষ্টারে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে লিখেছেন, প্রচলিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগনের রায়ে নির্বাচিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশকে আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নত অবস্থানে নিয়ে এসেছে। ধারাবাহিক অগ্রগতি, সমৃদ্ধি ও মানবিক উন্নয়নসুচক আজ বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই কল্যানমুলক রাষ্ট্রের মর্যাদায় অভিসিক্ত।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যানমুখী অসাধারন নেতৃত্বের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক উদ্যোগ, সংস্কার ও নানামুখী সৃজনশীল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বাংলাদেশের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। সাধারন মানুষের মৌলিক অধিকার ও চাহিদা অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থান-শিক্ষা ও চিকিৎসা সংস্থানের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান উপরের দিকে।

মানবিক উন্নয়নের অন্তত ১২টি সূচকে বাংলাদেশ প্রতিবেশি দেশের তুলনায় এগিয়ে। জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের কাছাকাছি। প্রান্তীক জনগোষ্টির অবস্থান কয়েক ধাপ উন্নীত হয়েছে। খাদ্য ঘাটতি কাটিয়ে খাদ্য রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। কৃষি, শিল্প, বাণিজ্যখাত সম্প্রসারন, যোগাযোগ, অবকাঠামোগত নির্মান সহ বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মড়েলে পরিণত হয়েছে।

পদ্মা সেতু সহ অনেক মেঘা প্রকল্প বিশ্ব ব্যাংকের ঋন ছাড়াই নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এভাবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অত্বনির্ভরতার শক্তি অর্জন করেছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন ভিশন অনুযায়ী ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবার পথে অগ্রসরমান।

বিশিষ্ট সংগঠক, রাজনীতিবিদ, সমাজ সেবক ফরিদ মাহমুদ তার এই ব্যতিক্রমী প্রয়াস নগরবাসীর কাছে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। একটি ওয়ার্ডে প্রজেক্টরের মাধ্যমে উন্নয়ন প্রদর্শনের সময় এই আয়োজনের কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন,’ আমি প্রত্যেক ওয়ার্ডে উন্নয়নের চিত্র মানুষের কাছে তুলে ধরছি, পাশাপাশি জোট সরকারের শাসনামলকেও প্রদর্শন করছি।

এভাবে কাজ করতে গিয়ে দেখে দলের অনেক নেতাকর্মীও বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য সফলতা সম্পর্কে সম্পুর্ন অবগত নয়। এর দ্বারা নেতাকর্মীরা যেভাবে অবগত হচ্ছে সেভাবে সাধারন মানুষও জানতে পারছে সরকারের কি কি পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হচ্ছে। আপনি জানেন,’আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এই বিশাল অর্জন ও প্রাপ্তীর জন্য কোন আলাদীনের চেরাগ ছিল না।

সবকিছু সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিখাত দেশপ্রেম ও দায়বদ্ধতার কারনে। অনেক বাধা, বিপত্তি ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারিক কার্যক্রমের সর্বোচ্চ শাস্তির রায় কার্যকর করতে যখন উদ্যোগি হন, তখন সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত চক্র নজিরবিহীন নাশকতা চালায়। লাগাতার অবরোধে পেট্রোল বোমায় মানুষ হত্যা সহ ভয়ংকর সব অপরাধ সংঘটিত করে।

তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দেশকে অস্থিতিশীল করে পেছনের দিকে ঠেলে দেয়া এবং সরকারের জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানকে ভেঙ্গে দেওয়া। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর ও দৃঢ় অবস্থান এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির অদম্য উত্থানে। এ ছাড়াও ক্রমাগত বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সম্প্রতি মিয়ানমারের সৃষ্ট ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের পরও বাংলাদেশ দমিত হয়নি। সৃষ্টিসুখের অদম্য উদ্দীপনায় মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।

সব মিলিয়ে দৃশ্যমান উন্নয়নের মিছিলের বাইরে এমনকি সুদুরপ্রসারী অর্জন বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে অপার সম্ভাবনাময় করে তুলেছে। চট্টগ্রাম মহানগরীতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কার্যক্রম ভাল চললেও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির উন্নয়নের অগ্রগতি জনসম্মুখে সঠিকভাবে উত্থাপন করা হচ্ছে না। সরকারের সফলতা জনগনের সামনে তুলে ধরতে যুবলীগ নেতা ফরিদ মাহমুদের এই ব্যতিক্রমী প্রয়াস জনগনের মধ্যে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। মাহনগরীর ৩৭ নং ওয়ার্ডের একজন প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা সিটিনিউজকে বলেন,’ফরিদ মাহমুদের এই উদ্যোগ তৃনমুলের নেতকর্মীদের শুধু উজ্জীবিতই নয়, চট্টগ্রাম সহ সারাদেশের উনয়নচিত্র সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে দলীয় নেতাকর্মীগন অবহিত আছেন।

৯নং ওয়ার্ডের এক যুবলীগ নেতা বলেন, প্রত্যেক ওয়ার্ডে ফরিদ মাহমুদের ব্যক্তিগত উদ্যোগ সরকারের সফলতা তুলে ধরা হচ্ছে। সরকারের সফলতা নিয়ে এই প্রকল্পের উদ্যোক্তা ফরিদ মাহমুদ বলেন,’স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গনতন্ত্র সংরক্ষন, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্টা এবং উপরোক্ত উন্নয়ন, অগ্রগতি ও অর্জন সমুহের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া সকল নাগরিকের কর্তব্য।

স্বদেশ প্রেম, মাটি ও মানুষের প্রতি প্রগাঢ় দায়বদ্ধতা নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরাধ্য সোনার বাংলা বাস্তবায়নে তার সুযোগ্য তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিপ্লব ঘটিয়ে চলেছেন। এ কারনে চলমান উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনার প্রতীক নৌকার পক্ষে আবারও ঐতিহাসিক রায় প্রদান করতে বিনীত আহবান জানাচ্ছি। চট্টগ্রামের সচেতন মহল মনে করেন, ফরিদ মাহমুদের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ দলীয় শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে তৃনমুলের নেতাকর্মীদের অনুসরন করা উচিত। আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডও ফরিদ মাহমুদকে উৎসাহিত করতে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।

অনুসরন করা উচিত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে আরও বেগবান ও অগ্রগতির পথে ধাবিত করতে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। নিজের ভাগ্য গড়ার কাজ না করে দলীয় ভাবমুর্তি উজ্জল, সরকারের ব্যাপক সফলতা জনগনকে জানান দিতে ফরিদ মাহমুদের এই প্রচেষ্টা, উদ্যোগ, শ্রম, মেধা ও মননে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের জন্য একটি অনুসরনীয় দৃষ্টান্ত।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.