বঙ্গোপসাগরে বাঁশখালীর ২১ মাঝিমাল্লা নিখোঁজ

0

সিটি নিউজ, বাঁশখালী প্রতিনিধি: দীর্ঘ ১৩ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে বাঁশখালীর ২১ মাঝি মাল্লাসহ এফবি সূর্যমুখী নামে ফিশিং বোট। নিখোঁজরা চকরিয়া, মিরশ্বরাই ও বাঁশখালীর পুঁইছড়ী ইউনিয়নের বহদ্দার হাট জলদাস পাড়ার বাসিন্দা। তাদের বেঁচে থাকার আশা দিন দিন ক্ষীণ হয়ে আসছে। সাথে বাড়ছে পরিবারের সকলের কাছে স্বজন হারানোর হতাশার বেদনা।

এলাকার হরিধর জলদাসের মালিকানাধীন এফবি সূর্যমুখী ফিশিং বোটটি গত ৩০ মে ২১ মাঝিমাল্লা নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজের ১৩দিন পেরিয়ে গেলেও এখন ও ফিরে না আসায় জেলে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।

তারা আর ফিরবে কি নাকি সাগরে ডুবে সকলে মারা গেছে অথবা কোথাও তাদের লাশ পাওয়া যাওয়ার খবর সোমবার পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন ও জেলে পরিবার গুলো ।

জানা যায়, গত ৩০ মে এফবি সূর্যমুখী ফিশিং বোটটি বাঁশখালীর খাটখালী ঘাট থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার উদ্যেশে রওনা হয়। গত ৬ জুন গভীর বঙ্গোপসাগরে সোনারচর মোহনায় ঘূর্ণি ও ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে ডুবে যায়।

এরপর থেকে ২১ জেলে পরিবারের লোকজনের সাথে তাদের যোগাযোগ বিছিন্ন হলে অনেক খোজঁ নেওয়ার পরও তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। অথচ তাদের সাথে যাওয়া অপরাপর ফিশিং বোট গুলো ফিরে আসে। পরবর্তীতে এফবি সূর্যমুখী ফিশিং বোটটির মালিক হরিধর দাশ গত ১৪জুন বাঁশখালী থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেন । এদিকে নিখোঁজ পরিবার পরিজনের মধ্যে চলছে স্বজন হারানোর কান্নার রোল। তারা কোন খবরই পাচ্ছেন না। নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।

এফবি সূর্যমুখী ফিশিং বোটটিতে থাকা জেলেরা পুঁইছড়ি চকরিয়া, ও মিরসরাই বাসিন্দা । নিখোঁজ জেলেরা সুবল জলদাস, সৌরভ জলদাস, বুৃলুধন জলদাস, তপন জলদাস, অসীম জলদাস, জিয়া জলদাস, মদন জলদাস,লিটন কান্তি দাশ, উপেন্দ্র্র দাশ, সজল কান্তি জলদাশ, মোস্তাফা আলী, বিমুরণ জলদাশ,কর্ণ মাঝি, মৃদুল জলদাশ, শ্যামল জলদাশ, অনীল জলদাশ, বর্মাপদ জলদাশ, নিরঞ্জন জলদাশ, বিমল কান্তি জলদাশ, মঈন উদ্দিন ড্রাইভার।

এদের মধ্যে ১৮ জনের বাড়ি বাঁশখালীর পুঁইছড়ি ইউনিয়নে। বিমল কান্তি দাশের বাড়ি কুতুবদিয়ায় এবং মঈন উদ্দিন ড্রাইভারের বাড়ি মিরসরাই উপজেলার। এফবি সূর্যমুখী ফিশিং বোটটিতে থাকা জেলেদের আপন দুই ভাই সুবল জলদাস ও সৌরভ জলদাস সহ অপরাপর জেলেদের খোজঁ না পাওয়ায় বর্তমানে সর্বত্র শোক বিরাজ করছে ।

এ ব্যাপারে এফবি সূর্যমুখী ফিশিং বোটটির মালিক হরিধর জলদাস বলেন জেলেরা আমার কাছ থেকে বোর্টটি লাভের অংশ দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যায় ।সবাই ফিরে আসলেও তারা ফিরে না আসায় আমি ১৪ জুন বাঁশখালী থানায় নিখোঁজ ডায়রি করি । এখনও পর্যন্ত সকল স্থানে খোজঁ নিয়ে বেড়াচ্ছি ।

এ ব্যাপারে বাশঁখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সালাহ উদ্দিন হীরা বলেন এফবি সূর্যমুখী ফিশিং বোটটির মালিক হরিধর জলদাস এর ডায়েরি পেয়ে সকল স্থানে বেতার বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ,সোমবার দুপুর পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন ধরনের খবর পাওয়া যায়নি ।তাছাড়া ঘটনাস্থল বঙ্গোপসাগরে হওয়ায় অনেকক্ষেত্রে খবর পেতে আমাদের সমস্যা হয় ।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.