বাঁশখালীতে লাঠির আঘাতে বৃদ্ধার মৃত্যু
বাঁশখালী প্রতিনিধিঃ বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের পূর্ব মানিক পাঠান গ্রামে জায়গা জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে কালা বদন প্রঃ আমির হোসেন (৬৭) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু ঘটেছে। তার পিতার নাম বাঁচা মিয়া প্রঃ তোতা মিয়ার। তবে নিহতের পরিবারের দাবী প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে তার মৃত্যু ঘটেছে।
আজ সোমবার (২৬ নভেম্বর) সকালে সংঘটিত বিরোধের জের ধরে নিহত ওই বৃদ্ধের লাশ বিকেলে পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চমেকের মর্গে প্রেরণ করেছে। এদিকে এই বৃদ্ধের মৃত্যু নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাথরিয়া ইউপি’র পূর্ব মানিক পাঠান গ্রামের নিহত কালা বদন প্রঃ আমির হোসেন সাথে একই এলাকার মৃত আবদুর সাত্তারের পুত্র আবুল কাশেম প্রঃ বাবুলের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
সেই বিরোধের জের ধরে সোমবার দুপুরে আবুল কাশেম গং জায়গা দখল করতে গেলে কালা বদন প্রঃ আমির হোসেন বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয়ের বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এ সময় হঠাৎ নিহত কালা বদন প্রঃ আমির হোসেন জ্ঞান হারিয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন।
পরে এলাকাবাসী থানা পুলিশকে খবর দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং নিহতের লাশ উদ্ধার থানায় নিয়ে আসে। তবে মৃত্যুবরনকারী কালা বদন প্রঃ আমির হোসেন এর পুত্র বদিউল আলম বলেন আমার পিতাকে আঘাত করার ফলে সে অজ্ঞান হয়ে মারা যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চি থাকলে ও পুলিশ আমাদের দেখতে না দিয়ে নানা কথা বলছে। তবে ইউপি সদস্য মো: নোমান চৌধুরী বলেন সে ষ্টোক করে মারা গেছে ।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানা পুলিশের ওসি মোঃ কামাল হোসেন বলেন, স্থানীয় দুইটি পক্ষের মধ্যে জায়গা জমি বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এই বৃদ্ধের মৃত্যু ঘটেছে।
ময়না তদন্তের রিপোর্ট সাপেক্ষে বলা যাবে কি কারণে মৃত্যু ঘটেছে তার। তাছাড়া লাশের সুরুতহাল রিপোর্ট তৈরীতে নিহতের শরীরে কোন ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলেও তিনি জানান।