বাঁশখালী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক ৪

0

বাশঁখালী প্রতিনিধি :: বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে জেলে পল্লীতে হামলার ঘটনার মূল হোতাসহ ৩ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ঘটনার পর গুরুপ্ত সহকারে আমলে নেয় থানা পুলিশ এ ঘটনা । এর পর পুরো এলাকায় বাঁশখালী থানা পুলিশ সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে।

তারই অংশ হিসাবে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত মূলহোতা পার্শ্ববর্তী বাহারছড়া ইউপি’র শামসুল আলমের পুত্র মোঃ সেলিমকে (৩৫) সহ আরো দুই জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। আটককৃত বাকি দুই জন হলেন- খানখানাবাদ ইউনিয়নের গাউছিয়া পাড়ার মোঃ রফিকের পুত্র আবদু রহিম রনি (১৯) ও রোমান (১৫)।

উল্লেখ্য খানখানাবাদ ইউপি’র ১নং ওয়ার্ডে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের জেলে পল্লীতে শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে দু’দফা হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা। হামলার ঘটনায় ফনিন্দ্র জলদাস বাদী হয়ে ১৩ জনকে জ্ঞাত ও আরো ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে বাঁশখালী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ ধর্ষণ মামলাসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামী আবদুল হামিদ (২৫) প্রকাশ হামতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। সে শীলকূপ ইউনিয়নের আশিঘর পাড়ার শামসুল আলমের পুত্র। তার বিরুদ্ধে বাঁশখালী ইকোপার্কে আসা দর্শানার্থীদের জোর পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন। তাছাড়া তার গ্রুপে একাধিক সংঘবদ্ধ সদস্য রয়েছে।তারা প্রায় সময় বাশঁখালী ইকোপার্কে আসা দর্শকদের নানা ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি সহ অপরাধ মুলক কাজে লিপ্ত বলে পুলিশ জানায় ।

আটকের বিষয়টি স্বীকার করে বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। আটককৃতদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে। খানখানাবাদের জেলে পল্লীতে জেলেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং ইকোপার্কে যাতে আর কোন পর্যটক ঘটনার শিকার না হয় সে ব্যাপারে কার্যকর ব্যাবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.