বাশঁখালীতে ছাত্রীর সাথে অশালীন আচরন, শিক্ষককে পুলিশে সোপার্দ!

0

বাঁশখালী প্রতিনিধিঃ বাশঁখালীর আলোচিত গন্ডামারা ইউনিয়নের ৭৬নং পশ্চিম গন্ডামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ফারুক আজমকে চর্তুথ শ্রেনীর এক ছাত্রীর সাথে অশোভন আচরন করার দায়ে গনধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে জনতা ।এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার হওয়া চর্তুথ শ্রেনীর ছাত্রীর মা আংগুর জাহান স্বামী মৃত ছৈয়দুল আলম প্র: গুরাবাশি বাদী হয়ে বাশঁখালী থানায় অভিযোগ দায়েল করতে যাচ্ছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা যায় ।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীর সুত্রে জানা যায় গন্ডামারা ইউনিয়নের ৭৬নং পশ্চিম গন্ডামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ফারুক আজমকে চর্তুথ শ্রেনীর এক ছাত্রী কে দুপুরের দিকে অশোভন আচরন ও নির্যাতনের চেষ্টা চালায় । এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তের মধ্যে বিদ্যালয়ে নির্যাতনের শিকার ও অপরাপর অভিভাবক গন উপস্থিত হয়ে এ ঘটনার সুষ্ট বিচার চান । এ সময় উত্তেজিত জনতা প্রধান শিক্ষক মো: ফারুক আজমকে মারধর করে ।

পরবর্তীতে এখবর বাশঁখালী থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশের এস আই রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো: ফারুক আজমকে থানায় নিয়ে আসেন। বাশঁখালী থানা পুলিশের এস আই রফিকুল ইসলাম বলেন এ ঘটনায় নির্যাতিত স্কুল ছাত্রীর পক্ষে তার মা আংগুর জাহান বাদী হয়ে অভিযোগ দায়েল প্রক্রিয়াধীন রয়েছে । তবে রাতে এ রিপোর্ট প্রেরন করা পর্যন্ত নানা কারনে থানায় মামলা রের্কড হয়নি বলে একটি সুত্রে জানা যায় ।

এদিকে ঘটনার ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো: ফারুক আজম বলেন বিদ্যালয়ের অভ্যান্তরীন দন্দকে কাজে লাগিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে । ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে গন্ডামারা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য মো: আলী হায়দার চৌধুরী আসিফ বলেন ঘটনা সর্ম্পকে জানার পর স্কুলে গেলে উত্তেজিত জনতা শিক্ষককে ঘেরাও করে রাখে । পরবর্তীতে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ।উপস্থিত জনতার তথ্যমতে ঘটনাটি সত্য মনে হয়েছে । তবে প্রশাসন প্রকৃত তথ্য উৎঘাটন করবেন ।

ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে ৭৬ নং পশ্চিম গন্ডামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এনামুল হক সিকদার মানিক বলেন আমার বিদ্যালয়ে যোগদানের আগে কাহারঘোনা স্কুলে এ ধরনের একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে আমার স্কুলে বদলী করলে ও প্রথমে আমি জানতাম । এ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর নানা অনিয়ম থাকলে ও আমি শিক্ষা অফিসে আবেদনের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে অবহিত করেছি । সর্বশেষ এক এতিম মেয়েকে নির্যাতন করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা খেল । এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরো বহু অভিযোগ রয়েছে বলে সে জানায় এবং এ ঘটনার পর তাকে ছাড়িয়ে নিতে অনেক লোক নানা ভাবে তদধির করছে বলে ও সে জানায় ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.