বৈরী আবহাওয়ায় পাকা ধানের ক্ষতির আশংকা
মো. দেলোয়ার হোসেন, চন্দনাইশ :: নতুন ফসলের স্বপ্নে বিভোর কৃষক। চন্দনাইশের বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা জানান, লক্ষ্যমাত্রা পূরণে উত্তীর্ণ হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে পাকা ধানের ক্ষতির আংশকা করছেন কৃষকেরা।
চন্দনাইশে বিভিন্ন বিলে বোরো পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ নতুন ধান তোলার স্বপ্নে বিভোর কৃষক। চলতি মৌসুমে ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকের চোখে মুখে আনন্দের ঝিলিক। ইতি মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে।
ধান কাটার শ্রমিক নিয়ে চিন্তিত কৃষকেরা। কারণ শ্রমিকের মজুরি দৈনিক ৮০০-১০০০ টাকা। সে সাথে শ্রমিক সংকটও রয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মৌসুমী শ্রমিকের সংখ্যা কম হওয়ায় শ্রমিকের মজুরি বেশি দিতে হচ্ছে। ভাল উৎপাদনের ফলে কৃষকদের মাঝে হাইব্রীড ধান ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাছাড়া সরকারি ভাবে ধান ক্রয়ের ক্ষেত্রে হাইব্রীড ধানকে গুরুত্ব দেয়ায় আরও বেশি ঝুঁকছেন কৃষকেরা।
চলতি মৌসুমে চাষের জন্য পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকুলে ইরি-বোরো ধানে ফলন ভাল হয়েছে। ধানের কাঙ্কিত ফলন হওয়ায় এলাকার কৃষকদের মাঝে হাসি ফুটেছে। চলছে কৃষকদের পরিবারের নবান্নের উৎসব। বর্তমানে কৃষকেরা ঝড় ও শিলা বৃষ্টির আশংকায় টাকার মায়া না করে তাড়াতাড়ি ধান কেটে ঘরে তোলার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুম মোয়াজ্জেমা বলেছেন, চলতি মৌসুমে চন্দনাইশে ৩৫০০ হেক্টর বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। ফলন ভাল হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে কৃষকেরা এ মৌসুমে লাভবান হবেন।
তাছাড়া পরিবেশ পরিস্থিতি মাথায় রেখে কৃষকদের ধান কাটা শুরু করার ব্যাপারে মাঠ কর্মীদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ইতি মধ্যে ৮০ শতাংশ ধান পেকে গেছে। গত ১ সপ্তাহ ধরে কালবৈশাখীর ছোবল, ধমকা হাওয়া, বৃষ্টি নিয়ে কৃষকেরা সংকিত হয়েছেন।