বৈশাখীর মত প্রতিভাবান শিল্পীদের পাশে থাকবে বিটিভিঃ মনোজ

0

মো. দেলোয়ার হোসেন, সিটি নিউজঃঃ বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার, নাট্যব্যক্তিত্ব মনোজ সেনগুপ্ত বলেছেন, বৈশাখী বড়ুয়া একজন প্রতিভাবান শিল্পী। সে তার চর্চার মাধ্যমে সংগীতে আরো সফল হতে পারবে।প্রতিভাবান শিল্পীরা তাদের নিজের যোগ্যতা বলে অবস্থান সৃষ্টি করে নেয়। সে রকম একজন প্রতিভাবান শিল্পী হচ্ছে বৈশাখী বড়ুয়া। বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র এ ধরনের প্রতিভাবান শিল্পীদের পাশে থাকবে।

২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মুক্ত মঞ্চে চন্দনাইশের সংগীত শিল্পী বৈশাখী বড়ুয়ার একক সংগীতানুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে উল্লেখিত কথা গুলো বলেছেন তিনি।

চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যাপক ড. অর্থদর্শী বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চলচিত্র প্রযোজক অনুপ কুমার বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে জিটিভি চট্টগ্রামের অনিন্দ্য টিটু, আরটিভি চট্টগ্রামের সরওয়ার আমিন বাবু, টিংকু বড়ুয়া, স্বর্ণময় চক্রবর্ত্তী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অশোক বড়ুয়া।

আলোচনায় অংশ নেন বিজিসি ট্রাষ্টের ট্রেজারার অধ্যাপক অজিত কুমার দাশ, পুলিশ পরিদর্শক উৎপল বড়ুয়া, জি কে দত্ত, সঞ্জীত আচার্য্য, অধ্যাপক শামসুদ্দীন শিশির, এড. দেলোয়ার হোসেন, হিল্লোল চৌধুরী, উত্তম বড়ুয়া, চন্দন বড়ুয়া, ডা. শুভময় চৌধুরী, রূপম মুৎসুদ্দি, পুলক ভট্টাচার্য্য, আনন্দ বড়য়া প্রমুখ।

বরুণ বিকাশ বড়ুয়া ও অনুপ্রভা বড়ুয়ার সংগীত পরিচালনায় বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী শিল্পী বৈশাখী বড়ূয়া  ‘মাগো আর তোমাকে ঘুম পাড়ানির মাসি হতে দিব না’ গান দিয়ে শুরু করে ভারতীয় ও দেশীয় ২০ টির অধিক গান পরিবেশন করে। ইতিমধ্যে বৌদ্ধ ধর্মীয় গানের অডিও সিডি বের করে শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল শিল্পী বৈশাখী বড়ুয়া।

বৈশাখী ১৯৯৬ সালে ৭ মে, ২৫ শে বৈশাখ জম্মগ্রহণ করায় তার পিতা-মাতা বৈশাখী বড়ুয়া নাম রাখেন। শিল্পী ২য় শ্রেণীতে অধ্যায়ন কালে তার মা অরুণা বড়ুয়ার হাতে গানের হাতেকড়ি। পরবর্তীতে ওস্তাদ অরুণ বড়ুয়া, প্রকাশ বড়ুয়া, রুবেল বড়ুয়া, রূপম মুৎসুদ্দি টিটু ও চন্দনাইশ সংগীত নিকেতন থেকে তালিম নেন।

বর্তমানে ওস্তাদ পুলক ভট্টাচার্যের নিকট উচ্চাঙ্গ সংগীতে তালিম নিচ্ছে। শিল্পী মাধ্যমিক পর্যায়ে অধ্যায়নকালে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় একাধিক বিষয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় শিশু সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় রবীন্দ্র, নজরুল, দেশের গান, পল্লী গীতিতে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে।

উচ্চ মাধ্যমিকে পটিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১২ ও ১৩ সালে পরপর দুইবার কলেজ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। তাছাড়া সাতকানিয়া-লোহাগড়া কর্তৃক আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসনের সেরাকন্ঠ’১৫ তে সেরা কন্ঠ শিল্পী হিসেবে গৌরব অর্জন করে।

২০১৭ সালে বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে শিল্পীর একক এ্যালবাম  ‘বুদ্ধ র্ধম শান্তির ধর্ম’ অডিও ভিডিও সিডি প্রকাশিত হয়। ২০১৬ সালে দূর্গপূজা উপলক্ষে যৌথভাবে ‘গীতা নামে দেওয়ানা’ নামে ২য় এ্যালবাম প্রকাশিত হয়। শিল্পী বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মীয় সংগীত, কীর্ত্তন চর্চার পাশাপাশি উচ্চাঙ্গ সংগীত, আধুনিক গানের চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে।

শিল্পীর সাথে সাময়িক আলাপকালে তিনি বলেন তার পিতা-মাতা, শিক্ষক গুরুদের অর্শিবাদ নিয়ে আগামী দিনে সংগীত চর্চার মাধ্যমে দর্শকের মন জয়ের জন্য সাংগীতে নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন। তিনি এ ব্যাপারে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, গুণী শিল্পীদের সার্বিক সহযোগীতা ও অর্শিবাদ প্রার্থনা করেছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.