ভারসাম্যপূর্ণ ও দূষণমুক্ত পরিবেশ আমাদের টেকসই উন্নয়ন- পমা

0

নিজস্ব প্রতিনিধি,সিটিনিউজ ::  পরিবেশ ও মানবাধিকার আন্দোলন-পমা ও নিউজপোর্টাল সিটিনিউজবিডি’র আয়োজিত ‘সুস্থ জীবনের জন্যে সুস্থ পরিবেশ : নাগরিক করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন,

“ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তো বটেই আমাদের জীবনকে সুস্থ-সুন্দর ও নিরাপদ রাখতে যেকোনো মূল্যে পরিবেশদূষণ রোধ করতে হবে। পরিবেশের অস্তিত্বকে বিনষ্ট করে নয়; বরং আমাদের সচেতনভাবে পরিবেশের উন্নতি করে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।

সুস্থ-সুন্দর জীবনের জন্য পরিবেশকে সুস্থ রাখতে হবে। ভারসাম্যপূর্ণ ও দূষণমুক্ত পরিবেশ আমাদের টেকসই উন্নয়ন ও প্রগতিরও পূর্বশর্ত। দূষণমুক্ত সুস্থ পরিবেশ তৈরির জন্য নাগরিকসমাজের সচেতন তৎপরতা জরুরি।

এ ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ফিরে পেতে পারি জীবনবান্ধব পরিবেশ।”

শনিবার (৫ আগস্ট) নগরীর সার্সন রোডস্থ হাটখোলা সেমিনার হলে পমা চেয়ারপারসন প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বেলা’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আবসার মাহফুজ’র সঞ্চালনায় গোলটেবিল আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য দেন চা গবেষক প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী।

আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজিমুদ্দিন শ্যামল, পোস্তারপাড় সিটি করপোরেশন কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক আবু তালেব বেলাল, গোলাপ রহমান, অধ্যাপক মুহম্মদ মাসুম চৌধুরী, কলামিস্ট এ কে জাহেদ চৌধুরী, গ্রিনক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আরটিভি’র চট্টগ্রাম ব্যুরোপ্রধান সারোয়ার আমিন বাবু, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম রিজিওন কমিটির সভাপতি আমিনুল হক বাবু, লায়ন জাহাঙ্গীর মিঞা, প্রকৃতি সম্পাদক কবি মুশফিক হোসাইন, রাজনীতিক সৈয়দ মুহম্মদ জুলকরনাইন, টেলিভিশন শিল্পী সংস্থার সভাপতি শেখ নজরুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ২৫তম ব্যাচ সভাপতি নূর হোসেন নিজামী, অধ্যাপক শাহাজাহান কবির ভূঁইয়া, ওয়াহিদুল আলম, কথাসাহিত্যিক জসিমউদ্দিন মাহমুদ, কবি সাঈদুল আরেফীন, নারীনেত্রী রেহেনা চৌধুরী, শিরিন আকতার, অধ্যক্ষ সোলাইমান কাসেমী, সাংবাদিক শাহেদ হাসান,সিটিনিউজের নির্বাহী সম্পাদক গোলাম সরওয়ার, রোটারিয়ান মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, কথন সম্পাদক ফারুক হাসান, মো. তাজুল ইসলাম রাজু, ডা. বলাই কুমার আচার্য, সাংবাদিক মো. আবুল কাশেম, মফিজুল ইসলাম চৌধুরী, মো. আবুল কালাম, সৈয়দ মোহাম্মদ খালেদ, পরিবর্তন সভাপতি এহসান আল কুতুবী প্রমুখ।

পমা’র চেয়ারপারসন প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বেলা বলেন, পরিবেশ নিয়েই আমাদের জীবন। পরিবেশ দ্বারাই আমরা প্রভাবিত। প্রকৃতির প্রতিটি উপাদান আমাদের জীবন গঠনে অপরিহার্য এবং তা অমূল্য সম্পদ।

আমরা প্রকৃতির পরিবেশেই গড়ে উঠি। কিন্তু অপরিকল্পিত নগরায়ন, বনজসম্পদের নির্মুলীকরণ, জনসংখ্যা বিস্ফোরণ, যেখানে সেখানে কলকারখানা গড়ে তোলা, কলকারখানা থেকে নির্গত নানাবিধ বিষাক্ত গ্যাস এবং আবর্জনা পরিবেশকে দিনের পর দিন কলুষিত করে তুলছে।

শহরের মানুষ প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু পদার্থ পরিবেশে ত্যাগ করছে। পরিত্যক্ত পদার্থগুলোর পরিমাণ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে ক্রমশ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে। পরিণামে মানবজীবনে নিদারুণ সঙ্কট সৃষ্টি হচ্ছে।

হুমকির মুখে পড়েছে মানব-অস্তিত্ব। আর পরিবেশ দূষণের ফলে শুধু মানবজাতি নয়, সমস্ত জীবকূলের অস্তিত্ব ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের চিত্র কারো কাম্য নয়। তাই পরিবেশ রক্ষায় সবার সম্মিলিত চেষ্টা থাকতে হবে।

স্বাগত বক্তব্যে পমা’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, পরিবেশ নিয়েই আমাদের জীবন। আমরা যে পরিবেশেই থাকি না কেন সেই পরিবেশ দ্বারাই আমরা প্রভাবিত ও গঠিত। প্রাকৃতিক পরিবেশের নিয়ম নিয়ন্ত্রিত গতি দ্বারা জীবন প্রবাহমান।

প্রকৃতির প্রতিটি উপাদান বা বৈশিষ্ট্য আমাদের জীবন গঠনে অপরিহার্য এবং তা অমূল্য সম্পদ। প্রাকৃতিক সম্পদের অপূর্ব সমাহার আর তার ব্যবহার দ্বারা জীবনকে আমরা করে তুলি আনন্দময়। প্রকৃতির সক্রিয়তা ও সজীবতা জীবনে এনে দেয় অফুরন্ত অভিজ্ঞতা।

আমরা প্রকৃতির কাছ থেকেই শিখি, আর প্রকৃতির পরিবেশেই গড়ে উঠি। কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদের উপকারের প্রতিদানে অপকার করি, হয়ে উঠি অকৃতজ্ঞ, দুর্বিনীত, অত্যাচারী, নির্দয়! হয়ে যাই নিকৃষ্ট মানুষ। প্রাকৃতিক পরিবেশের অন্যতম সৌন্দর্য তার বনরাজি ও বৃক্ষরাশি। সবুজ গাছ আর তরুলতা আমাদের জীবন বাঁচিয়ে রেখেছে অক্সিজেন সরবরাহ করে। বৃক্ষ যেখানে আমার পরম আত্মীয়, পরম বন্ধু, সেখানে আমরা হয়ে যাই গাছের প্রতি ভালবাসাহীন। আমরা তা সমূলে উৎপাটিত করে বা কর্তন করে, তাকে চিরতরে বিলীন করে, তার ভালবাসাকে মূল্যহীন করে দিচ্ছি। নিজেই ডেকে আনছি নিজের বিনাশ। এ অবস্থার অবসানে সবার সম্মিলিত প্রয়াস থাকতে হবে। আমাদের জীবনের স্বার্থে, বাঁচার স্বার্থে পরিবেশকে টিকিয়ে রাখতে হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.