মানব সম্পদ উন্নয়নে আরও বেশি সহায়তা দেবে জাপান

0

চট্টগ্রাম ব্যুরো : বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে আগের চেয়ে আরও বেশী সহায়তা দিতে জাপান আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দ্য অ্যাসোসিয়েশন ফর ওভারসিজ টেকনিক্যাল কো-অপারেশন অ্যান্ড সাসটেইনেবল পার্টনারশিপস (এওটিএস) এর প্রেসিডেন্ট শিনিয়া কুওয়াইয়ামা। বৃহস্পতিবার ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের হোটেল পেনিনসুলায় চট্টগ্রাম রিপোর্টাস ফোরামের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

এওটিএস হচ্ছে জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের (এমইটিআই) সহায়তায় পরিচালিত শক্তিশালী একটি সংগঠন। দেশের নির্বাচিত উদ্যোক্তা ও পেশাজীবীদের জাপানে প্রযুক্তিগত ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে থাকে এওটিএস।

এওটিএস এর কাছ থেকে বিদেশী কারিগরি বৃত্তি কর্মসূচির আওতায় প্রযুক্তিগত ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে চট্টগ্রাম এওটিএস অ্যালামনাই সোসাইটি। সংগঠনটির ৩০ বছর পূতি উপলক্ষে চট্টগ্রামের পেনিনসুলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের আগে চট্টগ্রাম রিপার্টার্স ফোরামের সাথে আলাপকালে এওটিএস প্রেসিডেন্ট শিনিয়া কুওয়াইয়ামা বলেন, ১৯৫৯ সাল থেকে বাংলাদেশের মতো অগ্রসরমান দেশগুলোর প্রশিক্ষণার্থীদের বৃত্তি দিয়ে আসছে এওটিএস। এখন পর্যন্ত প্রযুক্তিগত ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন বিষয়ে চার হাজারের বেশী বাংলাদেশী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। দেশের তৈরি পোশাক, ওষুধ, নির্মাণ, সেবা ইত্যাদি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন তারা। বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে আরও বেশী পরিমাণ সহায়তা দিতে জাপান আগ্রহী।

জাপানের অনারারি কনসাল জেনারেল মুহম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, বিশ্বব্যাপী মানবসম্পদ উন্নয়নে বড় ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে জাপান কাজ করে। জাপান সরকারের পক্ষ থেকে কাজগুলো করে থাকে এওটিএস। বাংলাদেশের কোন কোন খাতে মানবসম্পদ উন্নয়ন দরকার সেটা জাপান জানতে চায় এবং সে অনুযায়ী সহায়তা দিতেও বন্ধু দেশটি আগ্রহী। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম এওটিএস অ্যালামনাই সোসাইটির মাধ্যমে পাঁচ শতাধিক উদ্যোক্তা ও পেশাজীবীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এওটিএস। তিনি সাংবাদিকদের উন্নত প্রশিক্ষনের জন্য জাপানে যাবার পরামর্শ দেন। একই সাথে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন,এটা দুভার্গ্যজনক যে জাপানের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাংলাদেশীদের অনেকেই তৃতীয় কোন দেশে ভালো সুযোগ পেয়ে চলে যাচ্ছেন। যার কারণে মানবসম্পদ উন্নয়নে যথেষ্ট অগ্রগতি হচ্ছে না। জাপান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে তারা যদি বিদেশ না গিয়ে দেশের অন্যদেরও প্রশিক্ষণ দিতেন তাহলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো।

এ সময় আলোচনায় অংশ নেন ফোরাম সভাপতি কাজী আবুল মনসুর, ফোরামের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সারোয়ার আমিন বাবু, বাংলা টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান লোকমান চৌধুরী, এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টাও আবুল হাসনাত, ফিন্যানসিয়াল এক্সপ্রেসের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান পংকজ দস্তিদার, নিউ নেশনের ব্যুরো প্রধান গোলাম সরওয়ার, সি ভয়েস এর সিনিয়র রিপোর্টার হিমাদ্রি রাহা প্রমূখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.