রাউজান সড়কে পাঁচ শতাধিক গর্ত : চরম দুর্ভোগ

0

এম বেলাল উদ্দিন,রাউজান,সিটিনিউজ : রাউজান উপজেলার সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় গর্ত হওয়ায় এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ এলাকার কয়েক লক্ষাধিক মানুষ। হেলেদোলে চলছে গা[ড়ী। গর্তে জমে থাকা পানি ও খানাখন্দে আটকে যাচ্ছে গাড়ীর চাকা। ঝুঁকির মাঝে যান চলাচল করছে যাতায়াতকারী নারী পুরুষ। একদিকে নষ্ট হচ্ছে সময়, অন্যদিকে চাকা গর্তে পড়ে নষ্ট হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। কষ্ট পাচ্ছে যাত্রী সাধারণ। অপচয় হচ্ছে জালানীর। ঘটছে র্দূঘটনাও। চিত্রটি সড়ক জনপথ বিভাগের আওতায় থাকা চট্টগ্রামের রাউজানের জনগুরুত্বপূর্ণ হাফেজ বজলুর রহমান সড়কের।

উপজেলার দক্ষিণাংশের চার ইউনিয়নের লক্ষাধিক বাসিন্দাদের উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ সড়কটিতে পাঁচ শতাধিক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কটির পাহাড়তলী চৌমুহনী থেকে জলিল নগর চৌমুহনি পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকার ১৩ টি স্থানে গর্ত কয়েকস্থানে ধস ও কার্পেটিং ওঠে গিয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে বেহাল দশা হয়ে আছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে, ট্রাক, হাইস, মাইক্রো, কার, অটোরিক্সাসহ অসংখ্য গণপরিবহণ।

সড়কের পাহাড়তলী চৌমুহনী বাজার থেকে উপজেলা সদরের জলিল নগর চৌমুহনী পর্যন্ত ১৩ টি স্থানে পাঁচ শতাধিক বড় ছোট গর্ত হয়ে অনেক স্থানে জমে আছে পানি। অনেক স্থানে মনে হচ্ছে মিনি পুকুর। গর্তে পানি জমে ও খানাখন্দে আটকে যাচ্ছে গাড়ীর চাকা। বিগত দুই বছর ধরে সংস্কারের অভাবে চরম ভোগান্তিতে যাত্রী সাধারণ।

দেখাগেছে, সড়কটির পাহাড়তলী বাজার হয়ে উণসত্তর পাড়ার কাছাকাছি অংশ, বণিক পাড়া, উণসত্তর পাড়া ক্লাব, লস্কর উজির দিঘী, শহিদ উল্লাহ কাজী পাড়া. ইশানভট্টেরহাট, সোমবাইজ্জ্যাহাটের দুটি অংশ, আব্দুল কদ্দুস মোমেরিয়াল হাসপাতাল, হযরত চাঁদ শাহের মাজার এলাকা, মুহ্ম্মাদপুর, হাজী পাড়া মাজার এলাকা, ঢেউয়া হাজী পাড়া এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে অন্তত পাঁচ শতাধিক গর্তের। সড়ক পথে নবনির্মিত ৪টি ব্রিজের গোড়ার সংযোগস্থলে ঠিকভাবে সংস্কার না করায় খুবই ঝুঁকি নিয়ে গাড়ী চলাচল অব্যাহত আছে। এতে অনেক সময় ঘটছে র্দূঘটনাও।

স্থানীয় চলাচলকারীরা জানান, উপজেলার এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে উপজেলার দক্ষিণাংশের চার ইউনিয়ন বাগোয়ান, পাহাড়তলী, কদলপুর ও রাউজান সদর ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে। মাকসুদুল আলম নামের একজন চলাচলকারী বলেন, এ সড়কের পাহাড়তলী বাজার থেকে জলিল নগর পর্যন্ত অসংখ্য স্থানে গর্ত, সড়ক কিনারায় ধস, কার্পেটিং ওঠে গিয়ে করুণ অবস্থা। যান চলাচল করছে প্রচুর ঝুঁিকর মাঝে। আধাঘণ্টার পথটি পাড়ি দিতে সময় লাগছে দেড় ঘণ্টারও বেশি।

কদলপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান তসলিম উদ্দিন বলেন, আমার ইউনিয়নের চারটি নতুন কালর্ভাট নির্মাণ করা হয়েছে। কালর্ভাট গুলোর সংযোগ স্থলে পিচ ঢালাই না করায় এখানে খুব ঝুঁকির মধ্যে গাড়ী চলাচল করছে। বাকী আরো দুই স্থানে স্থানীয় জনগণ পানি নিস্কাসনের পথ অবরুদ্ধ করায় পানি জমে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে জনদুর্ভোগ বেড়েছে।

পাহাড়তলী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন বলেন, আমার ইউনিয়নের পাঁচটি অংশে শীঘ্রই সংস্কার শুরু হবে বলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি। তিনি বলেন এলাকাবাসির দাবী শীঘ্রই সড়কটি সংস্কার করা হোক।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-প্রকৌশলী সৌম্য তালকদার বলেন, সড়কটির কিছু কিছু জায়গায় সংস্কার করা হয়েছে। বাকী যে অংশগুলো খারাপ সেগুলোর সংস্কার কাজ আগামী একমাসের মধ্যে শুরু হবে। যার টেন্ডার প্রক্রিয়া চুড়ান্ত হয়েছে। তা ছাড়া একবার সংস্কার করার দুই বছরের মধ্যে নতুন করে সংস্কার কাজ করার কোন সুযোগ থাকেনা বলে জানান তিনি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.