রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নভেম্বরে

0

সিটি নিউজ ডেস্ক :  চলতি বছরের মধ্য নভেম্বরে শুরু হচ্ছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তিপূর্ণ উপায়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যে নির্দেশনা দিয়েছেন সে ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার।

মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ – মিয়ানমার জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক এ কথা বলেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে তিনদিনের সফরে রোববার (২৮ অক্টোবর) মধ্যরাতে ঢাকায় আসে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি। প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারেও যাবেন।

ইতিমধ্যে আট হাজার রোহিঙ্গার নামের তালিকা সম্পর্কে সম্মতি দিয়েছে মিয়ানমার। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং মিয়ানমারের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে বলেন, শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে রাখাইন অঞ্চলে সকল নিরাপত্তা বাহিনীসহ সাধারণ মানুষকে মোটিভেশন করার কাজ করা হচ্ছে।

সভার আগে সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মিন্ট থোয়ে।মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের কাছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আরো একটি তালিকা হস্তান্তর করে ঢাকা। বৈঠকে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত মে মাসে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছিল মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল। সেই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বেও ছিলেন মিন্ট থোয়ে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে গত ৯ আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমার সফর করেন। সে সময় তারা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের আবাসন সুবিধা, চলাফেরা ও জীবনযাত্রাসহ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অগ্রগতিও পর্যবেক্ষণ করেন। এছাড়া প্রতিনিধি দল মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর ওপর জোর দেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আর কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে আরো প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.